আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসক খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় কোনও ভাবেই একজন জড়িত নয়। এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে বহু আন্দোলনকারী চিকিৎসক এবং পড়ুয়ার মনে। এরই মাঝে দাবি করা হচ্ছে, কাউকে বাঁচাতে ধৃত সঞ্জয় রায়কে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে। উঠে আসছে ধনঞ্জয়ের উল্লেখ। এহেন পরিস্থিতিতে আরজি কর কাণ্ডে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। (আরও পড়ুন: উঠেছে একাধিক জনের জডꦉ়িত থাকার অভিযোগ, এরই মাঝে আরজি কর কাণ্ডে তলব⛦ ৪ জনকে)
আরও পড়ুন: 'রাতে একা সেমিনার হলে থাকা উচিত ෴হয়নি' বলা RG করের অধ্যক্ষ 'অপমানিত',দিলেন ইস্তফা
আরও পড়ুন: আরজি করে কেস ধামাচাপা দিতে নির্যত🌜িতার মাকে টাকার অফার পুলিশের, বিস্ফোরক চিকিৎসক
জানা গিয়েছে, একটি আবেদনে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের নিয়ম মেনে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের আর্জি জানানো হয়েছে। দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের আগে তাঁদের মানসিকস্থিতি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হোক। আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েও করা হয়েছে আꦜবেদন। এই মামলাটি করেছেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে আরও সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিক আদালত এই আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। এরই সঙ্গে আরজি করের এমএসভিপি এবং অধ্যক্ষকে 'ক্রিমিনাল প্রসিডিং'-এ যুক্ত করার আবেদন জানান তিনি। এছাড়া সমাজ মাধ্যম থেকে মৃতের নাম মোছার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়েও করা হয়েছে পৃথক এক জনস্বার্থ মামলা।
আরও পড়ুন: ভাতার নামে ভাঁওতা, ডিএ নিয়ে 'গুলতাপ্পি' রাজ্য সরকারের, গুরুতর অভไিযোগ কর্মীদের
উল্লেখ্য, দু'দিন আগেই আরজি করের চেস্ট ম𝓰েডিসিন ডিপার্টমেন্টের ট্রেনি চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় হাসপাতালেরই চার তলার এক সেমিনার হলে। সেই ঘটনায় হাসপাতালে সুপারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। সেই মতো স্বাস্থ্য দফতর এই সিদ্ধান্ত নেয়꧒। এদিকে পুলিশের তরফ থেকেও এসিপি নর্থ চন্দন গুহকে অপসারণ করা হয়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ভাবে পুলিশের তরফ থেকে নাকি মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে জানানো হয়েছিল, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এই আবহে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন।
এদিকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযোগ উঠেছে, সঞ্জয় একা এই কাজ করে থাকতে পারে না। এই আবহে প্রভাবশালী কাউকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিকে আপাতত আদালতের নির্দেশে সঞ্জয় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা পাওয়া ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনেকেই সঞ্জয়ের তুলনা টানছে। উল্লেখ্য, ধনঞ্জয় আসল দোষী ছিলেন নাকি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল অতীতে। এই ক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, সঞ্জয় 🐈একা ꦫএই কাজ করেনি।