আজ মুরলীধর শর্মা দেখা করলেন আরজি কর হাসপাতালের মৃত চিকিৎসকের বাবা–মায়ের সঙ্গে। পুলিশকর্তার সঙ্গে আলোচনার পর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে ‘সন্তুষ্ট’ বলে জানান মৃত চিকিৎসকের পরিবার। যদিও মৃত চিকিৎসকের মা–বাবা সন্দেহ করছেন, এই ঘটনায় আরও কয়েকজন যুক্ত। এই নির্মম পাশবিক অত্যাচার একজဣনের পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার জেরায় স্বীকার করেছে এই কাণ্ড সেই ঘটিয়েছে। সেখানে আজ, রবিবার ধৃতের মায়ের দাবি, ‘নির্দোষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ যদিও তার দিদির দাবি, ভাই চারটি বিয়ে করেছিল।
এদিকে এদ🦩িকে তরুণী জুনিয়র চিকিত্সককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় কারও উপর সন্দেহ থাকলে সেটা পুলিশকে জানাতে বলেছেন নগরপাল বিনীত গোয়েল। এমনকী ময়নাতদন্তের রিপ꧅োর্টে এবং সিসিটিভি ফুটেজ আন্দোলনকারীদের দেখাবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার একটি গলিতে বাড়ি ধৃতের। বাড়িতে তার বৃদ্ধ মা রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, ছোটবেলা থেকে বক্সিং শিখত এই সঞ্জয় রায়। চারটি বিয়েও করে। কিন্তু, কোনও বিয়েই বেশি দিন টেকেনি। যদিও ছেলে এই কাজ করেছে তা মানতে নারাজ অভিযুক্তর মা। অভিযুক্তের মা বলেন, ‘নির্দোষের উপর অত্যাচার হচ্ছে। যে অত্যাচার করল তার কিছু হল না। ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওই মহিলাই ছেলের জীবন নষ্ট করল।’
আরও পড়ুন: ‘ভিতরের কোনও লোকဣ জড়িত আছে’, আরজি কর কাণ্ꦑড নিয়ে এবার বিস্ফোরক তথ্য মৃতের বাবার
অন্যদিকে আরজি করের ঘটনা সত্যিই স্পর্শকাতর। তার উপর এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আন্দোলনের তীব্রতা বেড়ে গিয়েছে। এই আবহে মৃত চিকিৎসকের মা জানান, আরজি কর হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সকলের উপরেই তাঁদের সন্দেহ আছে। এই বিভাগের আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে বলে তাঁরা সন্দেহ করছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাঁরা পুলিশের কাছে আবেদন জানান। আর অভিযুক্তের বড় দিদি বলেন, ‘বাড়ির অম🅘তে বিয়ে করেছিলাম। তাই ওই বাড়ির কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই। বাপের বাড়ি কোনদিনও যাওয়া হয়নি। বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের মাথায় একটু সমস্যা হয়েছে। মাঝেমধ্যে ভুলভাল কথা বলে। আমি জানতাম ভাই দুটো বিয়ে করেছে। হঠাৎ এখন শুনল𝕴াম চারটে বিয়ে হয়েছে।’
এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে এখন গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডাকে। সেখানে এই রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে এমসিআই–কে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন। আর এই ঘটনায় আজ, রবিবার মৃত চিকিৎসকের বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা। তবে প্রতিবেশীদের দাবি, অভ⛦িযুক্ত যুবক প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করত। প্রতিবেশীদের কারও সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল না।