মহিলা চিকিত্সককে ধর্ষণ–খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ চলছে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে। এই আবহেই আজ, রবিবার হাসপাতালে গেলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। যে সেমিনার হলে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে পৌঁছলেন তিনি। নগরপালের সঙ্গেই 🔜ঘটনাস্থলে এলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা। আজ মুরলীধর শর্মা 🌃দেখা করলেন আরজি কর হাসপাতালের মৃত চিকিৎসকের বাবা–মায়ের সঙ্গে। পুলিশকর্তার সঙ্গে আলোচনার পর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে ‘সন্তুষ্ট’ বলে জানান মৃত চিকিৎসকের পরিবার। যদিও মৃত চিকিৎসকের মা–বাবা সন্দেহ করছেন, এই ঘটনায় আরও কয়েকজন যুক্ত। এই নির্মম পাশবিক অত্যাচার একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন তাঁরা।
এদিকে তরুণী জুনিয়র চিকিত্সককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় কারও উপর সন্দেহ থাকলে সেটা পুলিশকে জানাতে বলেছেন নগরপাল বিনীত গোয়েল। এমনকী ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এবং সিসিটিভি ফুটেজ আন্দোলনকারীদের দেখাবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মৃতার বাবা বলেন, ‘পুলিশ অফিসার আমাদের জানিয়েছেন, আমরা তদন্ত এগিয়ে নিয়ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚে যাচ্ছি। তবে তাঁর সঙ্গে কী কথা হয়েছ🌊ে, তদন্তের স্বার্থে আমরা বলতে পারছি না। আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখেছি। আর প্রশাসনের উপরও আমাদের আস্থা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় এসিপি নর্থ–কে অপসারণ, পুলিশ কমিশনারಌের কড়া সিদꦉ্ধান্ত
একের পর এক দাবি মেনে নিচ্ছে পুলিশ। কারণ এমন ঘটনা সত্যিই স্পর্শকাতর। তার উপর এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এই আন্দোলনের তীব্রতা বেড়ে গিয়েছে। এই আবহে মৃত চিকিৎসকের মা জানান, আরজি কর হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সকলের উপরেই তাঁদের সন্দেহ রয়েছে। এই বিভাগের আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে বলে তাঁরা সন্দেহ করছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাঁরা পুলিশের কাছে আবেদন জানি🐼য়েছেন। আর মৃত চিকিৎসকের বাবার কথায়, ‘আমাদের মনে হচ্ছে, ভিতরের কোনও লোক জড়িত আছে। একাধিক লোক জড়িত আছে। এই ꦑসন্দেহের কথা আমি পুলিশকে জানিয়েছি।’
এই ঘটনা নিয়ে এখন গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্র⭕ী সুকান্ত মজুমদার চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডাকে। সেখানে এই রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে এমসিআই–কে পাঠানোর আর্জি জা♕নিয়েছেন। আর এই ঘটনায় আজ, রবিবার মৃত চিকিৎসকের বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করার পর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গিয়েছে, সে আমাদের বোন বা ভাইঝির মতো। দোষীকে শাস্তি দেওয়া হবে। এই ঘটনার শেষ দেখে আমরা ছাড়ব।’