আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখনও চলছে। টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হন জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে তাঁকে আরজি কর হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট উদ্বেগজনক বলে জানান চিকিৎসকরা। পুলিশ রাস্তায় গ্রিন করিডর করে দেওয়ায় সহজে নিয়ে যাওয়া গিয়েছিল। এই 🌌আবহে আজ, শনিবার অসুস্থ ছেলেকে দেখতে এলেন তাঁর ব൩াবা।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয় চিকিৎসক মহলে। কারণ অনিকেত মাহাতো এখন খু🐠ব পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। তাঁর শরীর কেমন আছে? এই খোঁজ অনেকেই নিচ্ছেন। 🍬সেখানে অনিকেতের বাবার উপস্থিতি বাড়তি গুঞ্জনের জন্ম দেয়। অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছেলে ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। তাঁকে দেখতে ঝাড়গ্রামের শিলদা থেকে কলকাতায় ছুটে আসেন অনিকেত মাহাতোর বাবা। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা করেন ডাক্তার ছেলের সঙ্গে। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয়। তারপর চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন অনিকেত মাহাতোর বাবা।
আরও পড়ুন: ‘চিকিৎসক সত্তা থেকে তাগিদ অনুভব করেই এখানে এসেছি’, অনশন মঞ্চে জলপাইগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক
ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে বাবা উদ্বেগে ছিলেন। তাই ছুটে আসেন ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতায়। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি মন শান্ত করেন। আরজি কর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে অনিকেতের বাবা অপূর্ব মাহাতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আগের থেকে ছেলে অনেকটাই সুস্থ আছেন।’ এইটুকু বলেই সেখান থেকে চলে যান 💯অনিকেত মাহাতোর বাবা অপূর্ব মাহাতো। অনিকেতের বাবাকে প্রশ্ন করা হয়, সুস্থ হয়ে অনিকেত কি আবার অনশন মঞ্চে ফিরবেন? জবাবে অপূর্ব মাহাতোর বক্তব্য, সেটা সম্পূর্ণ অনিকেতের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।’
দুর্গাপুজোর সময়ও এমন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা তা ভাবতে পারেননি অনেকেই। কারণ রাজপথে মানুষের ঢল নেমেছে। ঠাকুর দেখতে পিল পিল করে মানুষ জেলা থেকে কলকাতায় এসেছেন। সেখানে ধর্মতলায় আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তাররা। গত ৬ অক্টোবর অনশনে বসেন অনিকেত মাহাতো। এই ঘটনার পর জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর শিলদার বাড়িতে পুলিশ 🌳যায়। তখন অনিকেতের বাবা–মায়ের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়। আর তারপরই শনিবার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অনিকেতের বাবা।