আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপরই এই হাসপাতালের দুর্নীতি সামনে𒁃 এসেছে। এমনকী দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ইডি হানা দিতে শুরু করেছে তাঁর বাড়িতে। আর এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এবার এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে শুনানি। এবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নিজের বক্তব্য তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরজি কর হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তার পর একমাস কেটে গিয়েছে। জাস্টিস মেলেনি। আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় উই ওয়ান্ট 🌼জাস্টিস স্লোগান তুলে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ। আজ, সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেকে বলছেন আমি নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা দেওয়ার ൲কথা বলেছি। সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে। অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমি জানি কখন কি বলতে হয়। আমি বলেছিলাম যদি আপনারা কখনও মেয়ের স্মৃতিতে কিছু করতে চাইলে জানাবেন সরকার আপনাদের পাশে আছে।’
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে দুই যুবককে মার কুলটিতে, সিআইএসএফের মারে মৃত্যু একজনের, বিক্ষোভ
আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তারপর সিবিআই তদন্তভার নেওয়ায় তাদের হাতে যায়। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে। সেক্ষেত্রে এই ধর্ষণ–খুনে অভিযুক্ত একজনই। এই ঘটনায় রাত দখল থেকে ভোর দখল সবই চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘ডক্টরস ফোরাম যে আবেদন করেছিল সেখানেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তারপরও আমি সে কথা বলিনি। যে দাবিগুলি করা হয়েছিল সব মেনে নিয়েছি। কিন্তু তা বলে পুলিশের উপর হামলা করবেন! কলকাতা পুলিশ তো মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছ♏ে।’
আজ সুপ্রিম কোর্টে আন্দোলনরত ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে কাজে ফিরতে বলেছেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আপনাদের বেশিরভাগ দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন আপনারা বলছেন পুলিশ কমিশনারকে পাল্টাতে 🦋বলছেন। সব দাবি মানা তো সম্ভব নয়। আমি সিবিআইকে বলছি দ্রুত তদন্ত করে বিচার দিন নির্যাতিতাকে। এখন আমাদের হাতে কিছু নেই। সবটাই সিবিআইয়ের হাতে আছে। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের বলব আপনারা কাজে ফিরে আসুন। সামনে উৎসব। মানুষ যেন চিকিৎসার অভাবে মারা না যান।’