একের পর এক জঙ্গি হামলায় নাজেহাল পাকিস্তানের সরকার এবার সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সামগ্রিক সেনা অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, এই বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেই এগোতে চাইছে ইসলামাবাꦿদ।
মূল🎉ত, দেশের দক্ষিণ-পশ্✅চিমাংশে অবস্থিত বালোচিস্তান প্রদেশে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি সক্রিয় রয়েছে, সেগুলিকে নিকেশ করতেই সেনা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেহবাজ শরিফের সরকার।
সূত্রের দাবি, সম্প্রতি আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তবর্তী বালোচিস্তানে সন🙈্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা হঠাৎ করে মারাত্মক হারে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক করেন শরি💜ফ। সেই বৈঠকে সামরিক আধিকারিকদের পাশাপাশি অসামরিক বিভিন্ন বিভাগে꧃র উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে মঙ্গলবারের এই বৈঠক নিℱয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে জানানো হয়, 'বালোচিস্তানে যে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি সক্রিয় রয়েছে, তাদের নিকেশ করতে এই বৈঠকে সামগ্রিক সেনা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।'
এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির মধ্যে রয়েছে - মাজিদ ব্রিগেড (আত্মঘাতী হামলাকারীদের গোষ্ঠী), বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ), বালোচিস্তান লিবারেশন ফ্রন𒆙্ট (বিএলএফ) এবং বালোচ রাজি অজয় সাঙ্গার (বিআরএএস)।
সংশ্লিষ্ট বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি নিরপরাধ জনতাকে নিশানা করছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ജস্তব্ধ করতে বিদেশি অভ্যাগতদের আক্রমণ করছে। তারা বাইরের বিভিন্ন শক্তির এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে এবং পাকিস্তানে নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ করছে।’
মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে শেহবাজ শরিফ মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেইসঙ্গে, সং💃শ্লিষ্ট প্রদেশগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং তিন সামরিকবাহিনীর প্রধানও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
সরকারি বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, 'সেনাপ্রধান আবারও বলেছেন, পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং সরকার যেভাবে সর্বত্র শান্তি স্থাপন করতে উদ্যোগী হয়েছে, সেই প্রচেষ্টার পাশে দাঁড়াতে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সমস্📖ত রকমের বিপদের সম্ভাবনা সমূলে উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর।'
প্রসঙ্গত, বালোচিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদ🎃েশ হলেও উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও সেখানে পৌঁছয়নি। উপরন্তু, লাগাতার জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নবাদী গোষ্ঠীগুলির উপদ্রবে এই এলাকা প্রায় দুই দশক ধরে অস্থির।
এই এলা🐈কার সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তানের আমজনতা থেকে শুরু করে, সরকারি আধিকারিক, সেনা ও পুলিশের সদস্য এবং বিদেশি অভ্যাগত, বিশেষ করে চিনা প্রতিনিধিদের লক্ষ করে বহুবার হামলা চালিয়েছে। যার জেরে নাজেহাল পাক সরকার।
যদিও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বক্তব্য, এই অঞ্চল আদতে মহামূল্যবান বিভিন্ন খনিজ পদার্থ এবং প্রাকৃতির গ্যাসের ভাণ্ডার। সেই ܫপ্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতেই তারা স꧂ংগ্রাম করছে!