আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের নামে আগামী সপ্তাহে চার্জশিট দিতে চলেছে সিবিআই। সেই চার্জশিটে তথ্য এবং প্রমাণ লোপাট সহ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে। এই আবহে সোমবার সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে সশরীরে শিয়ালদা আদালতে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এই আবহে সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সোমবারই চার্জশিট পেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই। তবে সেদিন চার্জশিট পেশ করা সম্ভব না হলেও বুধবারের মধ্যেই সেই কাজ করা হবে বলে দাবি করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে। (আরও পড়ুন: তৃণমূলের দেখানো পথে এবার ভেঙেই যাবে ইন্ღডিয়া? অখিলেশেব ভাবগতিকে জল্পনা)
আরও পড়ুন: 'ধর্মীয় অপরাধের শাস🔯্তি' পালনের সময় স্বর্ণমন্দিরে সুখবীর সিং বাদলের ওপরে চলল গুলি
এর আগে আরজি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করে সিবিআই। উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে ওই হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। সেই সব দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। তবে আরজি করে দুর্নীতির তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করাতে হবে দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানায় যেহেতু আরজি করে চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সিবিআই করছে তাই দুর্নীতির তদন্তও তারাই করবে। এই আবহে সন্দীপ ঘোষ, আশিস পাণ্ডে সহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট তৈরি করে সিবিআই। ১২৫ পাতার চার্জশিটের সঙ্গে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ও নথি জমা দেওয়া হয়েছিল আদালতে। সিবিআই চার্জশিটে স্পষ্ট জানিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বেই দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়া চার্জশিটে রয়েছে আশিস পান্ডে, ব্যবসায়ী সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ ও আফসার আলি খানের নাম। (আরও পড়ুন: শিন্ডেকে ৬ ℱমাসের জন্য মুখ্যমনඣ্ত্রী করা হোক, শাহি বৈঠকে নাকি এমনই দাবি উঠেছিল)
এর আগে সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সন্দীপ ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্কে বেআইনি লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট (বলা যেতে পারে 'ইডির এফআইরএর') দায়ের করে মামলার তদন্ত চলছে। এই তদন্ত চলাকালীন সন্দীপের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের নামে একাধিক সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, সন্দীপই নিজের আত্মীয়দের নামে এই সব সম্পত্তি কিনে থাকতে পারেন। এই আবহে সম্পত্তি কেনার ওই টাকা কোন উৎস থেকে এসেছে, তা জানতে সন্দীপের আত্মীয়দের লিখিত বয়ানও নেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, সন্দীপ, তাঁর পরিবারের কয়েক জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। বেআইনি ভাবে যে সব সংস্থা হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করেছিল, তাদেরই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুরপথে কোটি কোটি টাকা সাদা করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টাতেই সামরিক আইন উঠে গেল দক্ষিণ কোরিয়ায়, প্👍রবল চাপে প্রেসিডেন্ট)
তার আগে আবার সামনে এসেছিল আরজি কর হাসপাতালে ‘স্কিল ল্যাব’ তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছ, নিজের ঘনিষ্ঠ সংস্থাকে এই স্কিল ল্যাব তৈরির বরাত দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এমনকী সেই সংস্থার নামে তাঁর কাছে অভিযোগ জমা পড়লেও তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। উলটে প্রভাব খাটিয়ে অভিযুক্ত সংস্থাকেই প্রায় ৩ কোটি টাকার সেই বরাত পাইয়ে দেন। এই আবহে মনে করা হচ্ছে, এই দুর্নীতির🌠 টাকার একটি অংশ গিয়েছে সন্দীপেরই পকেটে।
উল্লেখ্য, 🐠২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের জন্য ‘স্কিল ল্যাব’ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই আবহে আরজি কর হাসপাতালের তরফ থেকে স্কিল ল্যাব তৈরির জন্যে দরপত্রের আহ্বান করা হয়েছিল। সেখানে বরাত পায় মা তারা ট্রেডার্স। সংস্থাট♈ির মালিক বিপ্লব সিংহ। তিনি আবার সন্দীপ ঘোষের বেশ ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। অভিযোগ, বিপ্লব সিংহ ২ কোটি ৯৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকার দরপত্র দিয়েছিলেন। তবে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে এই স্কিল ল্যাব তৈরি করতে লেগেছিল মাত্র ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ টাকা। সেখানে আর জি করে চার গুণ টাকা দিয়ে কেন একটি সংস্থা বরাত পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে স্কিল ল্যাব ছাড়াও একাধিক ক্ষেত্রে সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।