বড়ဣদিনে পানশালায় তুমুল অশান্তি। নিউ মার্কেটের এক পানশালায় তুমুল ঝামেলার অভিযোগ। পানশালার কর্মীদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নিউ মার্কেট থানার পুুলিশ ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে। আর তাৎপর্যপূর্ণ ধৃত দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। তার থেকেও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল দুজনেই বাংলাদেশি। কিন্তু বাংলাদেশের নাগর༒িক হওয়া সত্ত্বেও কলকাতার পানশালায় এসে কীভাবে তারা এমন তান্ডব চালালেন তা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন। ধৃতদের নাম সেরাজুল আলম ও নাফিউ খান। ঠিক কী হয়েছিল ওই পানশালায়?
বড়দিনে মহানগরীর পানশালജাগুলিতে ভিড় ছিল যথেষ্ট। দলে দলে আমোদপ্রিয় মানুষ ভি়ড় জমিয়েছিলেন পানশালায়। বারগুলিতেও উপচে পড়া ভিড়। ফূর্তিতে ডুবে ছিলেন অনেকেই। সেই দলে ছিলেন বাবা ও ছেলেও। ১২ ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ওই পানশালায় ঢুকেছিলেন দুজন। সূত্রের খবর, সম্ভবত তাদের নিজেদের মধ্যে কোনও কারণে ঝামেলা হয়েছিল। এরপর তারা পরস্পরের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে বচসা চলছিল। আচমকা সেই বচসা থেকে মারপিট শুরু হয়ে যায়। এদিকে বাবা ও ছেলে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেন। সেই মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ক্রমশ উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। এরপর তারা বারের কর্মীদের উপরেও চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পানশালার দুজন কর্মী সুজিত বক্সি ও শংকর রুদ্র জখম হন। তাদের লক্ষ্য় করে ঘুষি চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। লাথি ঘুষি, চড়, থাপ্পড়, ধাক্কাধাক্কি, অশ্লীল গালিগালাজের জেরে বড়দিনের পানশালা যেন রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। তার জেরে গন্ডগোল ক্রমেই ছড়াতে থাকে।
এদিকে অভিযুক্ত বাবা ছেলেকে ধরে ফেলেন অন্যান্যরা। আহত কর্মীদের এসএসকেএমে চিকিৎসা করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এভাবে বারের মধ্যে ঢুক🍬ে বাংলাদেশির তাণ্ডবকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। কেন তারা এভাবে ঝামেলা পাকালেন তিনি নিয়েও প্রশไ্ন।
এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনাটি বাংলাদেশের হাই কমিশনারের দফতরে জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে🃏 ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের গাজিপুরে। এদিকে ধৃতদের পাসপোর্ট ও ভিসার তথ্য যাচাই করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এনিয়ে পুলিশ বাংলাদেশ হাই কমিশনকে অনুরোধ করেছে।
এদিকে গোটা ঘটনার ব্যাপারে ওই ধৃতদের বাড়িতে খোঁজ পাঠানো হয়েছে। কেন তারা এভাবে পানশালায় ঢুকে মারপিটে জড়িয়ে প▨ড়লেন তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এনিয়ে পানꦗশালার এক কর্মী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।