দিল্লিতে চলে গিয়েছে গরুপাচারের মূল মামলা। তাই সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানালেন, এই মামলার শুনানি করার এক্তিয়ার আর কলকাতা হাইকোর্টের নেই। যার পলে কেষ্টর মতো আপাতত কারাগারেই থাকতে হবে তাঁর বিশ্বস্ত দেহরক্ষীকেও।একাধিক কারণ দেখিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন সায়গল হোসেন। তাঁর আইনজীবীর দাবি ছিল, সায়গলের কাছ থেকে নতুন করে কিছু জানার নেই। যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে চার্জশিট পেশ করেছেন তদন্তকারীরা। যদিও এদিন শুনানি শুরু হতেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, গরুপাচারকাণ্ডের মূল মামলা দিল্লিতে চলে গিয়েছে ফলে এই আদালতের আর জামিনের মামলার শুনানি করার এক্তিয়ার নেই। একথা বলে সায়গলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন তিনি।২০২২ সালের ৯ জুন গরুপাচারকাণ্ডে সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর পর তাঁকে জেলে গিয়ে গ্রেফতার করে ইডি। আইনি লড়াইয়ের পর সায়গলকে দিল্লিতে নিয়ে যান তাঁরা। সেই থেকে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী তিহাড় জেলে বন্দি।তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সায়গলের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। একজন পুলিশ কন্সটেবল কী করে এই বিশাল সম্পত্তির মালিক হলেন তার কোনও সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি সায়গল। এছাড়া তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের নিজের কোনও ফোন ছিল না। সায়গলের ফোন থেকেই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। সায়গলের পর অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও তিহাড় জেলে নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি গরুপাচার কাণ্ডের মূল মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের অনুমতি দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।