✤ আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আরও উদ্বেগ বাড়ল সন্দীপ ঘোষের। মামলার চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেলেও মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর মন্তব্য চিন্তার ভাঁজ ফেলল সন্দীপের আইনজীবীদের কপালে। এমনকী বিচারপতির মন্তব্য যাতে বিচারপ্রক্রিয়ায় প্রভাব না ফেলে সেই আবেদনও করতে শোনা যায় তাঁর আইনজীবীদের। তবে তাতে কর্ণপাত না করে নিজের মন্তব্যে অনড় থাকেন বিচারপতি বাগচী।
𓆉এদিন বিচারপতি বাগচীর এজলাসে ফের সিবিআইয়ের ২৫ হাজার পাতার চার্জশিট পড়ার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন সন্দীপের আইনজীবীরা। আবেদন শুনে বিচারপতি বাগচী বলেন, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা অত্যন্ত গুরুতর। উনি শুধুমাত্র একজন সাধারণ চিকিৎসক ছিলেন না। উনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। ওনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও প্রশাসনে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। এই ধরণে অভিযোগে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে পারলে বিচারব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বাড়ে। কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি হয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা তাঁর দায়িত্ব।
ꦅশুনানির শেষে সন্দীপের আইনজীবীরা বলেন, বিচারপতির মন্তব্য এই মামলার শুনানিতে প্রভাব ফেলতে পারে। তা যেন না হয় তাই নির্দেশ দিন বিচারপতি। কিন্তু সেই আবেদনে কান না দিয়ে বিচারপতি বাগচী ফের বলেন, কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি হয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা তাঁর দায়িত্ব।
🍸এদিন মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথির স্ক্যানড কপি সন্দীপের আইনজীবীকে দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবারের মধ্যে যাবতীয় নথি হস্তান্তর করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ꦿকলকাতা হাইকোর্টের এই মন্তব্যের জেরে সন্দীপ ঘোষের বিপদ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। আরজির কর মেডিক্যালে দুর্নীতির তদন্তে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ এনেছে সিবিআই। টেন্ডার থেকে কাটমানিসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।