পুজোর আর বেশি দেরি নেই। ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে পুজো কমিটিগুলি। মৃৎশিল্পীদের মধ♔্যেও প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা তুঙ্গে। মঙ্গলবার পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান ১০ হাজার টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, কলকাতার একটি নামী পুজো কমিটি অনুদানের টাকা ফিরিয়ে দিল। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। উল্লেখ্য, এর আগে পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিত রাজ্য সরকার। তবে এবার তা বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকার করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: এবার দুর্গাপুজোয় অনুদান ‘হাফ’ করে দিই? ‘ভয়’ দেখিয়েও টাকা ൲বাড়ালেন মমতা!
কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটির তরফে এই অনুদান না নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এই পুজো কমিটির সদস্য হলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করে রাজ্য সরকারের অনুদান না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ যে তিনি ইমাম ভাতা এবং পুরোহিতদের ভাতা বাড়িয়েছেন। দুর্গা পুজোর জন্য পুজো কমিটিগুলির অনুদান বাড়িয়েছেন। তবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সেই অনুদান ফিরিয়ে দিল।’ প্রসঙ্গত, পুজো কমিটিগুলিকে জানানো হয়েছে,𒊎 বিভিন্ন দফতরের হোর্ডিং, বিজ্ঞাপন দিতে হবে। পর্য𝐆টন দফতর, শিল্প দফতর এবং সরকারি কাজের হোর্ডিং লাগাতে হবে। তাহলে কী সেই কারণেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটি এই অনুদান ফিরিয়ে দিল? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, শহরের নামকরা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। প্রতিবছর এই পুজোকে কেন্দ্র করে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় দর্শনার্থীদের। এই দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে প্রায়ই রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে দড়ি টানাটানি দেখা যায়। গত বছর এই পুজোর থিম ছিল আজাদী কা অমৃত মহোৎসব। পুজোর মূল আকর্ষণ ছিল লাইটিং এবং সাউন্ড। তা দেখতে সেখানে ভিড় করেছিলেন লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী। গত বছর এই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং মিউজিকের উদ্বোধন করেছিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তবে উদ্বোধনের পরে লাইট ও সা꧟উন্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এ বছর বিজেপি নেতাদের পুজো কমিটির সঙ্গে থেকে জড়িয়ে থেকে জনসংযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়ার বার্তা দি🎃য়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারই মধ্যে এবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটি অনুদান ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল।