মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়াশোনা করেছিলেন এই কলেজেই। দক্ষিণ কলকাতার সেই যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ইমেল মারফত কলেজের পড়ুয়ারা কলকাতা পুলিশ এবং কলেজ কর্তপক্ষের কাছে এই ইস্যুতে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ জানান হয়েছে কলেজের পরিচালনা সমিতিতে থাকা তৃণমূলের দুই শীর্ষ স্থানীয় নেতা - মালা রায় এবং দেবাশিস কুমারকে। সেই ইমেলেরই স্ক্রিনশট নিয়ে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন সুকান্ত মজুমদার। (আরও পড়ুন: 🍌এই প্রথম! বেসরকারি মহাকাশ অভিযানে পাইলট হবেন ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসার)
𝓰নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, 'বাংলাদেশে এতদিন ধরে উগ্র ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের কাছ থেকে যে ধরনের হুমকি শোনা যাচ্ছিল, তা এখন আমাদের বাড়ির চারপাশেই শোনা যাচ্ছে। রাস্তার নাম 'আনোয়ার শাহ' হওয়ায় এলাকায় সরস্বতী পূজার কোনো আয়োজন করা যাচ্ছে না! একটি ইসলামি মৌলবাদী দল দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী কলেজে প্রবেশ করে ফতোয়া জারি করে চলে গেছে। একটু ভেবে দেখুন- তুষ্টিকরণ চালানো অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে তারা কতটা সাহসী হলে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটাতে পারে? এক মুহূর্ত ভেবে দেখুন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে এই ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে ঘটছে। এবং তবুও তিনি কিছুই জানেন না!'
💃উল্লেখ্য, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দিয়ে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের ছাত্র নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে। এই নিয়ে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ল কলেজের পড়ুয়ারা। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছ অধ্যক্ষের কাছেও। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজে ঢুকে সরস্বতী পুজো না করতে হুমকি দেন তৃণমূলি দুষ্কৃতী সাব্বির আলি। পুজোর আয়োজন হলে ছাত্রদের খুনের হুমকি দেন তিনি। বলেন, রাস্তায় বেরোলে দেখে নেব। মেয়েদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব। প্রসঙ্গত, এই সাব্বির আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে সাব্বিরের বিরুদ্ধে কলেজে গুন্ডাগিরির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এর পর সাব্বিরের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট। কিন্তু তার পরও সাব্বির ও তার দলবল ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ।
𝓰এদিকে দিন কয়েক আগে নদিয়ার হরিণঘাটা থানা এলাকার নগরউখড়ার একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করতে হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বুথ সভাপতি আলিমুদ্দি। অভিযোগ, পুজো করলে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ১ দিনের মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এই আলিমুদ্দি।