জুনিয়র ডাক্তাররা এখনও তাঁদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। এবার সেই জুনিয়র ডাক্তারদের নিশানা করলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তবে কার্যত তাঁর কথায় এটা স্পষ্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটা বিরাট অংশ কার্যত জুনিয়র ডাক্তারদের উপর নির্ভরশীল। তܫাঁরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার জেরে কীভাবে বিরাট সংখ্যক রোগীকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, কীভাবে ডাক্তারদের সংখ্য়া কমেছে সেকথা কার্যত মেনে নিয়েছেন দেবাংশু।
তবে নেটিজেনদের প্রশ্ন, সিনিয়ররা কোথায়?
সেই সঙ্গেই প্রশ্ন তবে কি রাজ্য়ের সব ཧহাসপাতাল চালাতেন জুনিয়ররাই?
দেবাংশু এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে লিখেছেন, রোগীদের ৬ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আউটডোর ও ইনডোরে চিকিৎসকদের ভয়াবহ ঘাটতির জেরেই এই প💝রিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও রাজ্য সরকার এই জট কাটাতে সবরকম উদ্যোগ নিয়েছে, জুনিয়র ডাক্তাররা এখনও তাঁদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা একটা মরণ-বাঁচন ব্যাপার। অগণিত রোগী তাঁদের যত্নের উপরই নির্ভর করেন। আমরা জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে অনুরোধ করছি আপনারা আপনাদের শপথকে সম্মান করুন ও কাজে ফিরুন। লিখেছেন দেবাংশু।
সেই সঙ্গেই দেবাংশু একটি সংবাদপত্রে কাটিংও পোস্ট করেছেন। সেখানে মূলত রোগীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৬ ঘণ্টা ধর𝓡ে অপেক্ষা করার পরেও কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন না রোগীরা। বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা কলকাতায় আসছেন। এমনকী ইনডোরে চিকিৎসকদের দেখা না পেয়ে অনেকে বন্ডে সই করে রোগীদের নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
এদিকে সামনেই পুজো। এমনিতেই হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসকদের সংখ্যা কমতে থাকে। অনেকেই ছুটিতে চলে যান। আর যারা থাকেন তাঁদের মধ্য়ে অনেকে হাসপাতালে বুড়িছোঁয়া করেই ফিরে যান। সেক্ষেত্রে পুজোর দিনগুলোতে মূলত ভরসা থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররাই। কিন্তু সেই জুনিয়র ডাক্তাররা বর্তমানে কর্মবিরতিতে 💛গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে এবার পুজোর সময় কী পরিস্থিতি দাঁড়ায় সেটাই দেখার।
এদিকে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন উৎসবে ফিরুন। তবে তারপরেও মুখ্যমন্ত্রীর কথায় গুরুত্ব দেননি অনেকে। কটাক্ষও করেছিলেন। এ🎃বার সেই মানুষদেরও একহাত নিয়েছেন দেবাংশু। দেবাংশু জানিয়েছেন, ‘শ্রীভূমি থেকে কল্যাণী আইটিআই; মহালয়ার দিন থেক♒েই মণ্ডপে-মণ্ডপে জনজোয়ার। যাঁরা উৎসব বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন, উৎসবে ফিরছি না বলে পিওর বাম সুলভ স্লোগান তুলেছিলেন, সাধারণ মানুষ তাঁদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন। মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন গরিবের পেটে লাথি মেরে উৎসব বয়কট (করার বিষয়টি) কোনও সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয়।’