বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের দিনগুলিতেও রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত ছিল। বিজেপির রাজ্য নেতা তো বটেই এমনকী জাতীয় স্তরের নেতারা কলকাতার পুজো মণ্ডপে এসে ‘অসুর’, ‘অশুভ শক্তি’ শব্দ ব্যবহার করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন। বিশেষ করে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের আয়োজিত সন্তোষ মিত্র স্কোয🔥়ারে রাম মন্দিরꦆের আদলে তৈরি পুজোকে ঘিরে দর্শনার্থীদের যে ভিড় দেখা গিয়েছে তা নিয়ে তিনি রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করেছেন। তা নিয়ে এবার শুভেন্দুকে পালটা জবাব দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: 'বাংলা এবার সঠিক পথে,' ভাসানে রামের নামে নাচ! ভিডিয়ো দেখিয়ে𝔉 উল্লসিত শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে দর্শনার্থীদের ভিড়ের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে তৃণমূলকে ‘তোলামূলী’ বলে কটাক্ষ করেন। এরপর তিনি দাবি করেন, এই ভিড় উত্তরপ্রদেশ কিংবা বিহারের নয়, এটা পশ্চিমবঙ্গের। গোটা রাজ্যে শোভাযাত্রার সময় এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে বলে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন। তিনি লেখেন, ‘বাংলা ঠিক রাস্তাতেই রয়েছে।’ তার কয়েক ঘণ্টা পরে শুভেন্দু অধিকারীকে পালটা জবাব দেন কুণাল ঘোষ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানান, এটা ব♓াংলারই দৃশ্য। কারণ এখানে মানুষের বাকস্বাধীনতা রয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু এই স্বাধীনতা বিজেপির রাজ্যগুলিতে নেই। তিনি জানান, তৃণমূল রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়ার জন্য উৎসবে সাম্প্রদায়িকতার রং চড়ায় না।
প্রসঙ্গত, শহরের পুজোতে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বাংলা থেকে অসুর শক্তি বিনাশ করার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। একইভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অসুর শব্দ ব্যবহার করেন। তাছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও অসুর শব্দটি শোনা যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে অসুর বলতে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির নেতারা। অন্যদিকে, সুকিয়া স্ট্রিটে কুণাল ঘোষের পুজোতে গিয়েছিলেন রাজ্যপ♏াল সিভি আনন্দ বোস। এনিয়ে শুভেন্📖দু অধিকারী মন্তব্য করেছিলেন, ‘সারদার টাকা চুরির সঙ্গে যে যুক্ত তার পুজোয় রাজ্যপালের যাওয়া উচিত হয়নি।’ পুজোর দিনগুলিতেও এভাবেই বিজেপি নেতাদের মুখে রাজনৈতিক কথাবার্তা শোনা গিয়েছে।