টিকা নিয়েছিল কিশোরী। আর তারপর থেকেই অসুস্থ। দিন যত এগিয়েছে ততই শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। রোগিণীর নাম নমিতা সিং। বয়স-১৭। প্রথম উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। এরপর ক্রমেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হাতে পায়ে কোনও সাড় ছিল না। একেবারে অবশ হয়ে যাচ্ছিল। সেই অবস্থায় আর কিছু বুঝতে না পেরে কলকাতায় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছিল নমিতাকে। এদিকে ততক্ষণে আরও জটিল হয়েছে কিশোরীর শারীরিক অবস্থা। কিন্তু কেন এমন হল তার ? তার আগে জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কথা। তাঁরা বলছেন, গোটা দেশে মাত্র ২১০টি অ্যাডভান্স ইভেন্টস ফলোয়িং ইমিউনাইজেশনে বা এইএফআইয়ের ঘটনা পাওয়া গিয়েছে। তবে তার মধ্যে মাত্র ৪৪টি ক্ষেত্রে সরাসরি টিকার সম্পর্কের কথা জানা গিয়েছে। ২৭টি ঘটনার জন্য টিকার উপাদান জড়িত আছে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৫জনের অসুস্থতার জন্য টিকা নেওয়ার পরের উদ্বেগ জড়িত রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের দাবি অসুস্থতার সংখ্যাটা অত্যন্ত নগন্য। সেকারণে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওভাবেই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিৎ নয়। অত্যন্ত নিরাপদ কোভিড টিকা।চিকিৎসকদের একাংশের মতে, নমিতার যে অসুস্থতা হয়েছিল তা অত্যন্ত বিরল ঘটনা। কিশোরীর শরীরে গুলেনবেরি সিনড্রোমের মতো স্নায়বিক জটিলতাও দেখা যায়। এতে সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। তবে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা একেবারে উজাড় করে দিয়েছেন কিশোরীকে সুস্থ করতে। তবে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসায় সাড়া দেয় কিশোরী। ২২দিনের লড়াই শেষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে সে।নমিতার মামা বলেন, টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এসব ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় বলে শুনেছি। কিন্তু কেউ যোগাযোগ করেনি।