‘আত্মনির্ভর ভারত’ ও ‘সোনার বাংলা’–কে এবার একই বাক্যে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের অনুষ্ঠানে তিনি বললেন, ‘আত্মনির্ভর ভারতের পাশাপাশি সোনার বাংলার সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। দেশের স্বাধীনতায় নেতাজির যে ভূমিকা ছিল, আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে সেই একই ভূমিকা পালন করতে হবে পশ্চিমবঙ্গকে। আত্মনির্ভর ভারতকে নেতৃত্ব দেবে আত্মনির্ভর বাংলা ও সোনার বাংলা।’একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে পা রাখলেন নরেন্দ্র মোদী। শনিবারের কর্মসূচি রাজনৈতিক না থাকলেও তাতে রাজনীতির গন্ধ লেগেই ছিল। এদিন ভিক্টোরিয়ার পরাক্রম দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণার পরপরই ওঠে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান। তার প্রতিবাদে ভাষণ বয়কট করেন মমতা। আর এই বিতর্কিত পর্বটি পুরোটাই ঘটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, বাবুল সুপ্রিয়দের সামনে।আর পরে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বারবার উঠে এল ‘সোনার বাংলা’র প্রসঙ্গ। এই ‘সোনার বাংলা’ গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখেই বাংলায় ভোটে লড়ছে বিজেপি। রাজ্য সফরে এসে ‘সোনার বাংলা’— এই শব্দবন্ধই শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার মুখে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীরাও দাবি করেছেন, ভোটে জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় এসে সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি। এবার ফের সেই ‘সোনার বাংলা’, ‘আত্মনির্ভর ভারত’ ও নেতাজিকে এক বাক্যে রেখে কৌশলী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।এদিন নরেন্দ্র মোদী আরও বলেছেন, ‘হাওড়া–কালকা মেলের নাম করা হয়েছে নেতাজি এক্সপ্রেস। প্রতি বছর এবার থেকে নেতাজির জন্মদিন পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করা হবে।’ নেতাজি–স্মরণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম কানে আসতেই শক্তি পেতাম। তিনি দুনিয়ার শক্তিশালী শাসককে বলতে পেরেছিলেন, আমি স্বাধীনতা চাইব না। ছিনিয়ে নেব। এই দিনে নেতাজি সুভাষের জন্ম হয়নি, জন্ম হয়েছিল আত্মগৌরবের। ছেলেবেলা থেকে ত্যাগ ও তপস্যার মাধ্যমে এই ভূমিতে বেড়ে উঠেছেন নেতাজি। আমি এই পুণ্যভূমিকে প্রণাম করছি।’