বড়সড় স্বস্তি পেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের লাখো-লাখো অনুরাগী। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামিকাল (বুধবার) তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে। বাড়িতে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। একইসঙ্গে এখনই সৌরভের দুটি ধমনীতে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হচ্ছে না। তা পিছিয়ে দেওয়া হল। সৌরভের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সকালে আলোচনায় বসে নয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। ভিডিয়ো কলে ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠি এবং আর কে পণ্ডা। ফোনে চেন্নাই থেকে যোগ দিয়েছিলেন স্যামুয়েল ম্যাথু। সৌরভের পরিবারের সদস্যরাও বৈঠকে হাজির ছিলেন। সেখানে সৌরভের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে বিভিন্ন মেডিক্যাল রিপোর্ট।পরে উডল্যান্ডস হাসপাতালের সিইও রূপালি বসু জানান, সৌরভের বাকি দুটি ধমনীতে (তিনটি ধমনীর ব্লকেজ হয়েছিল, একটির ইতিমধ্যে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে) অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্টেন্ট বসানো হবে। তবে তা এখনই হচ্ছে না। সর্বসম্মতভাবে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি কবে হবে, তা সৌরভের শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উডল্যান্ডস হাসপাতালের সিইও।সোমবার মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠকের শেষলগ্নেই খবর ছড়িয়েছিল, আগামিকালই (মঙ্গলবার) সৌরভকে হাসপাতাল থেকে ছুুটি দেওয়া হতে পারে। তবে আগামিকাল বাড়ি যেতে পারবেন না সৌরভ। তাঁকে আরও একদিন অপেক্ষা করতে হবে। উডল্যান্ডস হাসপাতালের সিইও জানিয়েছেন, আগামিকাল (মঙ্গলবার) সম্ভবত শহরে আসছেন চিকিৎসক দেবী শেঠি। তারপরই পরিস্থিতি বিবেচনা করে সৌরভকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বুধবারই বাড়ি যেতে পারেন সৌরভ। রূপালি বসুর কথায, ‘আগামিকাল আবারও আলোচনায় বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। আগামিকাল নয়, উনি সুস্থ থাকলে বুধবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। কবে স্টেন্ট বসানো হবে, সে বিষয়ে কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’পরে সৌরভের ব্যক্তিগত চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট একদম সুস্থ আছেন। কয়েকদিনের জন্য অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরছেন। প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে যাবেন উডল্যান্ডস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেখানে তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কিছু ওষুধপত্র চলছে। তিনি বলেন, ‘দাদার পক্ষে যেটা সবথেকে ভালো হয়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’