অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পর ভালো আছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সকালের খাবারও খেয়েছেন। তবে এখনও তাঁকে সপ্তাহখানেক হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাথমিক বিশ্রামের পর এক𓆉 মাসের মধ্যে আবারও স্বমহিমায় ফিরতে পারবেন সৌরভ।
রবিবার সকালে উডসল্যান্ডস হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরের রাতটা অত্য♐ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে গত রাত একেবারে ঘটনাবিহীনভাবে কেটেছে। ভালোভাবে ঘুমিয়েছেন সৌরভ। সকালে প্রাতঃরাশ সেরেছেন। খেয়েছেন চা। হাসপাতালের সিইও রূপালি বসু জানান, সৌরভের জ্বর নেই। সকালের রুটিন ইসিজি রিপোর্টে কোনও অস্বাভাবিকত্ব ধরা পড়েনি। সন্তোষজনক রিপোর্ট এসেছে। তাঁর পালস রেট (মিনিটে ৭২) এবং রক্তচাপও (১১০/৮০) স্বাভাবিক আছে।
সৌরভের ব্যক্তিগত চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু জানিয়েছেন, চিকিৎসায় ভালোভাবেই সাড়া দဣিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট। গল্প করছেন। কাগজ পড়েছেন। বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল টিম যেমন আশা করেছিল, সেই মতো শারীরিক উন্নতি হচ্ছে। তবে সৌরভের বাকি যে দুটি ধমনীতে ব্লকেজ আছে, তাতে বাইপাস সার্জারি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল। তাতে স্টেন্ট বসানো হবে। সে বিষয়ে আগামিকাল (সোমবার) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠছেন সৌরভ। তবে হাসপাতালেই স্টেন্ট বসানো হলে আরও সপ্তাহখানেক হাসপাতালে থাকতে হবে। তারপর দু'তিন সপ্তাহ টানা বিশ্রামে থাকতে হবে। সেই বিশ্রাম-পর্ব কাটিয়ে আবারও নিজের দৈনন্দিন কাজ শুরু করতে পারবে𝓀ন সৌরভ। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে সৌরভ আবারও স্বমহিমায় ফিরবেন বলে আশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
তারইমধ্যে একটি অংশ থেকে জল্পনা ছড়িয়েছে যে চিকিৎসার জন্য সৌরভকে রাজ্যের বাইরে কোথাও নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তবে উডসল্যান্ডসের সিইও জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে সেরকম কোনও প্রস্তাব নেই। বাইরের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে উডসল্যান্ডসের সিইও জানান, সৌরভ কেমন আছেনౠ, তা জানতে চেযে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফোন আসছে। তবে ফোনের তালিকায় কারা কারা আছেন, তা অবশ্য হাসপাতালের তরফে জানানো হয়নি।