সম𒀰য়ের যে গুরুত্ব কতটা, সে বিষয়ে তাঁর ধারণা নেহাত কম নয়। সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হয়ে উঠেছিলেন। আর সৌরভ মৃদ♍ু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ঘুরেফিরে আসছে সেই সময় - যা চিকিৎসার পরিভাষায় ‘গোল্ডেন আওয়ার’ হিসেবে পরিচিত।
হাসপাতালের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, অস্বস্তির পর দ্রুত হাসপাতালে এসেছিলেন সৌরভ। নষ্ট ক🧜রেননি কোনও সময়। তার ফলে দ্রুত যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেই ‘গোল্ডেন আওয়ার’-এর কারণে বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। একটি স্টেন্ট বসানোর পর আপাতত স্থিতিশীল আছেন সৌরভ।
একই কথা বলেছেন সৌরভের ব্যক্তিগত চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু। নিউজ ১৮ বাংলায় তিনি বলেন, 'আমার সঙ্গে ডোনাদির কথা হয়। জিম করছিল দাদা। কিছু সমস্যা হচ্ছিল। মাথাটা কিছুটা ভারী লাগছিল। অস্বস্তি হচ্ছিল। বমি করেছিল। আমি আর কোনও সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলি। ডোনাদি সঙ্গে সঙ্গে উডল্যান্ডসে নিয়ে আসে এবং যা যা চিকিৎসা করা দরকার, তা করা হয়।' সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘মূল বিষয়টি হচ্ছে গোল্ডেন আওয়ারের। এই যে দাদা ঠিক সময় চলে এল, ডোনাদি একেবারে ঠিকভাবে নিয়ে এল দাদাকে এবং তাড়াতাড়ি আসতে বলার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল। তারপর আরও কিছু করা। কিন্𒁃তু গোল্ডেন আওয়ারটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় যদি দেরি হত, তাহলে হৃদপিণ্ডের আরও ক্ষতি হতে পারত।’
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে যে ধমনী ব্লকেজের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌরভ, সেটির অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়েছে। ♈ডানদিকের ধমনীতে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক হয়েছে। আরও দুটি ধমনীতে ব্লকেজ আছে। সেখানে সামান্য সমস্যা আছে। তা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত উঠে বসছেন সৌরভ। জ্ঞানও আছে তাঁর। রক্তচাপ ১৩০ এবং ৮০ আছে।
ময়দানের বক্তব্য, সময় জ্ঞানের জন্য ভারতের ক্রিকেটের অন্যতম ‘পাণ্ডব’ হয়ে উঠেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। 🎃সময়ের সূক্ষ ব্যবধানে ব্যাটে বল ঠেকিয়ে নিখুঁত কভার ড্রাইভ মারতেন। অধিনায়ক হিসেবে সঠিক সময় নিতেন সঠিক সিদ্ধান্ত। আর ব্যক্তিগত জীবনে এত বড় ঘটনায় সেই সময় জ্ঞানেই কাটল বড়সড় উদ্বেগ।