শারীরিক পরীক্ষায় তাঁর যে খামতি থেকে গিয়েছিল, তা যেন আর কারও না হয়। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেশবাসীকে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার বার্তা দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যা হৃদরোগ এড়াতে পারে।মঙ্গলবার সকালে ৯ টা ৩০ মিনিট নাগাদ উডল্যান্ডস হাসপাতালে আসেন বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠি। সৌরভের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি জানিয়ে দেন, নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার অভাবে সৌরভের হৃদরোগের বিষয়টি আগে ধরা পড়েনি। যদি পরীক্ষা করতেন, তাহলে ১৫-২০ বছর আগেই হৃদরোগের বিষয়টি বোঝা যেত। নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্ক্যানের মতো যদি পরীক্ষা করতেন সৌরভ, তাহলে আগাম সংকেত মিলত। তা সত্ত্বেও সম্ভবত ব্যস্ততার কারণে যে কাজ করে উঠতে পারেননি, সেই কাজ যাতে বাকিরা করেন, সৌরভ সেই বার্তাও দিয়েছেন বলে জানান দেবী শেঠি।গত শনিবার সৌরভ মৃদৃ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতির ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানানো হয়েছিল, ২০০২-০৩ সাল নাগাদ শেষবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা হয়েছিল। তারপরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছিলেন সৌরভ। ২০০৮ সালে অবসর নেন। তা সত্ত্বেও মাঝের বছরগুলিতে খুঁটিনাটি শারীরিক পরীক্ষা হয়নি। আর সেই বিষয়টা যে কারও ক্ষেত্রে হতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের।সেই রেশ ধরেই দেবী শেঠি জানান, যতই ফিট হোন না কেন, যতই কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে জীবনযাপন করুন না কেন, যদি না নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়, তাহলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বছরে একবার বা দু'বছরে একবার শারীরিক পরীক্ষা করানোর অবশ্যই উচিত। দেবী শেঠি বলেন, ‘সৌরভ আমায় এই বার্তাটা দিয়েছেন। আমার মতে, এটা আপনাদের সকলকে জানিয়ে দেওয়া উচিত।’