আবার কাছাকাছি আসতে চলেছে শাসক–বির𒐪োধী। কয়েকদিন আগে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধায় কেন্দ্রের কাছে দরবারের জন্য শাসক–বিরোধী দলের বিধায়কদের টিম পাঠানোর প্রস্তাবে সিলমোহর দেন। যে প্রস্তাব তুলেছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গঙ্গা–সহ রাজ্যের নদী ভাঙন রুখতে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলে বিজেপিকে পাশে পেতে বার্তা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভায় সে প্রস্তাব সমর্থম করেছিল বিজেপি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বেঁকে বসায় বিপাকে পড়েছেন বাকি বিজেপি বিধায়করা। এই পরিস্থিতিতে বরফ গলাতে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলতে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব ✨দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী হয়েছিল বিধানসভায়? বিরোধী দলনেতার উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রাজ্যের স্বার্থে এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারপর বিধানসভায় সরকারিভাবে এই প্রস্তাব আনে শাসকদল। সেই আলোচনায় অংশ নেয় বিজেপি–আইএসএফ। তাতে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় প্র𓄧তিনিধিদল পাঠানো হবে বিধানসভা থেকে। তখন বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা জানান, তারা নীতিগতভাবে এই প্রস্তাবকে ꦑসমর্থন করেন। তবে প্রতিনিধি দলের বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হবে।
ঠিক কী বলেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী? বিধানসভার চলতি অধিবেশনের শেষে ধন্যবাদ জানিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রতিনিধি দল নিয়ে বিজেপির মত পরিবর্তন নিয়ে বলেন, ‘রাজ্যের এত বড় বিপদের দিনে আমরা চাই দলীয় রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যের স্বার্থে একস🅺ঙ্গে দরবার করা হোক। বিধানসভায় সব বিরোধী দলই সর🃏কারের প্রস্তাবকে সমর্থন করে। পরে রাতের দিকে সংবাদমাধ্যমে ওদের মত পরিবর্তনের কথা জানতে পারি। তাই বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা না থাকায়, আমি নিজে বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাই। ওদের তরফে কারা প্রতিনিধি দলে যাবেন, তাদের নাম জানানোর জন্য আমি মনোজকে অনুরোধ করেছি। মনোজ আমাকে বলেছেন, বিষয়টি বিরোধী দলনেতাকে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমি খুব তাড়াতাড়ি বিরোধী দলনেতাকে ফোন করব।’