কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড নিয়ে মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। 'সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নেই' বলে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তা চ্যালেঞ্জে করে সেই স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট ছাড়াই কীভাবে পুলিশ জানল যে কসবার শিবিরে ভুয়ো টিকা দেওয়া হচ্ছিল।গত জুনের শেষের দিকে ভুয়ো করোনাভাইরাস টিকাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সন্দীপন দাস। তাঁর দাবি ছিল, ভুয়ো টিকাকাণ্ডে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ জড়িত আছে। রাজ্য পুলিশ সত্য উদঘাটন করতে পারবে না। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়া হোক। যদিও হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। সেই মামলায় চলতি মাসের গোড়ার দিকে হাইকোর্ট জানায়, যেভাবে তদন্ত চলছে, তাতে আপাতত ভুয়ো টিকাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রীয় তদন্তের আর্জি জানিয়ে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, তাও খারিজ করে দেওয়া হয়। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই ধরনের অপরাধ বিরল। কীভাবে অপরাধ হয়েছে, তা অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয়। সেই ঘটনায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যদিও ভুয়ো টিকাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি জানান, আপাতত সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। এই মুহূর্তে রাজ্যের তদন্তে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না। ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।তারইমধ্যে কসবার ভুয়ো টিকাগ্রহীতদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। টিকা নিতে এসে এক ব্যক্তি জানান, ‘ভয় তো আছেই। টিকার নামে কী দিয়েছে কে জানে। শরীরে পরে যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না তারই বা নিশ্চয়তা কী?’ তবে টিকা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনে সার্টিফিকেট পেয়ে কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়েছেন তাঁরা। টিকাকরণ চলবে আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত।