রাজ্য় বাজেট ঘোষণা করলেন রাজ্য়ের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তারপরই বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আর বক্তব্যে তিনি জানিয়ে দিলেন এটা কর্মসংস্থানমুখী বাজেট। এদিন রাজ্য়ে বাজেটের শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,এই আর্থিক সীমিত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যতটা পেরেছি সুবিধা দেওয়ার কাজ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থাকা সত্ত্বেও। চেষ্টা করেছি সরকারি কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আর্থিক অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও সরকারি কর্মচারীদের ষষ্ঠ বেতন কমিশন তৈরি করেছিলাম। তার সুবিধা তারা পেয়েছেন। সরকারি কর্মচারীরা ব্যাঙ্ককে ঘুরতে যেতে পারেন। দশ বছরে একবার মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন। শ্রীলঙ্কায় যেতে পারেন, বাংলাদেশে যেতে পারেন। ভুটান যেতে পারেন। তাদের এসব সুযোগ রয়েছে। আমি মনে করি কৃষক,যুবদের জন্য বাজেট। আমি মনে করি এটা কর্মসংস্থানমুখী বাজেট ( এমপ্লয়মেন্ট ওরিয়েন্টেড বাজেট)। এখানে কোটি কোটি ছেলে মেয়েদের কর্মসংস্থান হবে। বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে। কর্ম সৃষ্টি করাটাই আমাদের কাজ। সবাই ধন্যবাদ জানাচ্ছি বাজেটে অংশ নেওয়ার জন্য। জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এবারের রাজ্য বাজেটকে কার্যত কর্মসংস্থানমুখী বাজেট বলে উল্লেখ করেছেন মমতা। এদিকে এদিন রাজ্য সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের ডি এ ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। অন্য়দিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তত ১.৮৮ কোটি মহিলাকে যুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ৬০ বছর অতিক্রম করলে তাঁরা বার্ধক্য ভাতা পাবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তারপর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সাধারণ মানুষের মন ভেজাতে নানা উদ্যোগ রাজ্য বাজেটে। তবে তাতে কি আদৌ কাজের কাজ কিছু হল?এদিকে সরকারি কর্মীদের জন্য মাত্র ৩ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই খুশি তো দূরের কথা ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীদের অনেকেই। তাঁরা এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভিক্ষা দিচ্ছেন? এই ভিক্ষার দান আমরা নিচ্ছি না।এতদিন বলতেন মামলা চলছে। এখন কী করে তিনি ডি এ দিলেন! আপনি বাঙালি জাতির লজ্জা! এভাবে শহিদ মিনারের আন্দোলনমঞ্চ থেকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তরা।