নিউটাউনে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে কোকেন উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। যার পরিমাণ সামান্য হলেও এর বাজার দর প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় ৭ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। ত💝দন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে এই সমস্ত কোকেন বিদেশ থেকে মুম্বই এবং সেখান থেকেই এসেছিল কলকাতায়। মূলত রেভ পার্টিতে এই সমস্ত কোকেন পাচারের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। কিন্তু, তার আগে পাচারকারীদের গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কেকেনের পরিমাণ হল ১৬৫ গ্রাম। ধৃতদের কাছ থেকে একটি চার চাকার গাড়ি ও বাইক বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ হাজার কোটির♏ মাদক বাজেয়াপ্ত কেরলের উপকূলে, ধৃত ১ পাক নাগরিক
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে ৪জন উত্তর কলকাতা, ২ জন লেকটাউন ও একজন বাগুইআটির বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন উত্তর কলকাতাতে থাকলেও আদতে সে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা, আর একজন বিহারের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে কয়েক꧒জন হল ছাত্র। এছাড়া বাকিরা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। প্র🍷সঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজ্য পুলিশের এসটিএফ হাওড়া স্টেশন থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের কাছ থেকে ৮৬ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করেছিল। যার বাজার মূল্য ছিল ২০ লক্ষ টাকা। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে কলকাতায় প্রচুর পরিমাণে কোকেন সরবরাহ করা হয় থাকে। এই সমস্ত কোকেন মূলত বিদেশ থেকে মুম্বই হয়ে কলকাতায় পাচার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, উত্তরপ্রদেশের একাধিক যুবক কলকাতায় কাজের নামে কেউ আত্মীয় বাড়িতে থাকছে আবার কেউ ভাড়া বাড়িতে থাকছে। আর এখানে থেকে এভাবেই মাদকের করবার চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিন ধৃতদের মধ্যে এক যুবকের নাম হল অবিনাশ কুমার। জানা ▨গিয়েছে এই অবিনাশ কুমার মুম্বই থেকে মাদক কিনে নিয়ে আসত কলকাতায়। এরপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় যেখানে রেভ পার্টির আয়োজন করা হতো সেখানে ফোনে যোগাযোগ করে কোকেন সরবরাহ করা হত। হাওড়া স্টেশনে ধৃতদ🔯ের কাছ থেকে অবিনাশের সম্পর্কে জানতে পেরে এসটিএফ তার মোবাইলের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল। সেই সূত্র ধরে শনিবার সন্ধ্যায় নিউটনের সার্ভিস রোডে হানা দেয় গোয়েন্দারা। তখন মাদক পাচারের সময় ৭ জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। প্লাস্টিকের প্যাকেটে তারা ১৬৫ গ্রাম হেরোইন রেখে দিয়েছিল। পুলিশের অনুমান এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে। তাদের সন্ধান চালাচ্ছে এসটিএফ।