আইআইএম কলকাতার ক্যাম্পাস চত্বরে প্রায় ৫০টি কুকুর এবং বেশ কয়েকটি বিড়াল রয়েছে। পড়ুয়ারা নিজেদের উদ্যোগে সেই কুকুরগুলির দেখাশোনা করে থাকেন। কিন্তু, রাতারাতি ৯টি কুকুরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের তরফে কুকুরগুলিকে অন্য জায়গায় ফেলে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রাণী কল্যাণ বোর্ডের কাছে প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতার অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন পড়ুয়ারা। তার ভিত্তিতে আইআইএম কর্তৃপক্ষের কাছে উত্তর চেয়েছে বোর্ড।
আরও পড়ুন: পাখি মারার বন্দুক দিয়ে কুকুরকে গুলি করে হত্যা, সরব পশুপ্রেমীরা, গ্রেফতার ২
চিঠিতে অভিযোগ জানানো হয়েছে, ভোলা, পিনাট এবং অন্যান্য নয়টি কুকুরকে ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ কিলোমিটার দূরে একটি ভাগাড়ের কাছে ফেলে আসা হয়েছে। এখানে সাধারণত পশুর মৃতদেহ ও আবর্জনা ফেলা হয়। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কুকুরগুলিকে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং নির্বীজকরণ করা হয়েছে। পড়ুয়ারা পরিচালিত সংস্থা ‘পেটপালস’ তাঁদের যত্ন নিয়েছে। ক্যাম্পাস চত্বরে থাকা প্রায় ৫০টি কুকুর এবং ৩০টি বিড়ালের যত্ন নিয়ে থাকে এই সংস্থাটি। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই কুকুরগুলিকে রাতের অন্ধকারে ফেলে দিয়ে আসা হয়েছে। কারণ আইআইএম কর্তৃপক্ষ একাধিকবার কুকুর এবং বিড়ালের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে পেটপালসের উদ্যোগের বিরোধিতা করে এসেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘যদিও আমরা এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারছি না, কারণ আমরা কেউই ক্যাম্পাসে নেই। তবে আমরা নিশ্চিত যে এই কুকুরগুলি নিজে থেকে বের হবে না। তাছাড়া নিরাপত্তা থাকার কারণে কেউ বাইরে থেকে এসে কুকুরগুলিকে নিয়ে যেতে পারবে না। ফলে এরসঙ্গে কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের দাবি, এই কুকুরগুলি ক্যাম্পাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফলে তাদের এভাবে ফেলে দিয়ে আসা শুধু অনৈতিক নয়, অবৈধও বটে।
এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় প্রাণী কল্যাণ বোর্ড গত ৮ মে আইআইএম কলকাতার ডিরেক্টরকে চিঠি লিখে এবিষয়টি জানায়। বোর্ডের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে এবং আইন মেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। আইআইএম কলকাতার ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর শৈবাল চট্টোপাধ্যায় জানান, এই অভিযোগ ঠিক নয়। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানের তরফে কুকুরদের থাকার জন্য একটি এনক্লোজার তৈরির কাজ চলছে। তাই এই কাজ কর্তৃপক্ষের নয়।