বুধবার রাতে SSKM থেকে বার করে জোকা ESI হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমু🦄না সংগ্রহ করেছে ইডি। প্রায় ৫ মাস পর SSKM থেকে বেরোলেন কাকু। আর ইডি হেফাজ🔜তে থাকাকালীন সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট এসেছে সংবাদমাধ্যমের হাতে। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মোটের ওপর স্থিতিশীল রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ।
ইডি সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসক দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়। গত অগাস্টে SSKMএ ভর্তির সময় কালীঘাটের কাকুর সদ্য বাইপাস সার্জারি হয়েছে। তখন তাঁর ধমনীতে অস্ত্রোপচারের ক্ষত ๊ছিল। সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যা ও সুগারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। মাঝে CSVT দেখা দেয় কালীঘাটের কাকুর। পায়ে ঘা হয়। কিন্তু সেসব সমস্যার নিরাময় হয়ে গিয়েছে।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কালীঘাটের কাকু এখন দিনে মোট ৮ রকম ওষুধ খান। এর মধ্যে ৩টি ওষুধ খেতে হয় হৃদযন্𝓰ত্র ঠিক রাখতে। এছাড়া কালীঘাটের কাকুর রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে সামান্য কম ১০৬🍸/৭০ ও হৃদগতি স্বাভাবিক (৮৮ প্রতি মিনিট) বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানির পর সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইডি। সন্ধ্✨যায় ৭টা নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্স ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে SSKM হাসপাতালে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সম্পূর্ণ করা হয় যাবতীয় প্রক্রিয়া। রাত ৯টা ১৩ মিনিট নাগাদ হুইল চেয়ারে বসিয়ে সুজয়কৃষ্ণকে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলেন ইডির আধিকারিকরা। তখন সুজয়কৃষ্ণের পরনে ছিল পায়জামা, চাদর ও মুখে মাস্ক। সুজয়কৃষ্ণ উঠতেই ছুটতে শুরু করে অ্যাম্বুল্যান্স। জোকা ESI হাসপাতালের রাস্তা ধরে অ্যাম্বুল্যান্স।
প্রায় ৪০ মিনিটের সফরের পর রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে জোকা ESI হাসপাতালে পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান্স। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামিয়ে সরাসরি জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়☂া হয় সুজয়কৃষ্ণকে। সূত্রের খবর, শারীরিক পরীক্ষার পর বুধবার রাত প্রায় ১টা থেকে শুরু হয় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া। যা চলে প্রায় ১ ঘণ্টা। ২ জন নিরপেক্ষ সাক্ষীর সামনে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়।
সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে ফের কালীঘাটের কাকুকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে SSKMএর দিকে ছোটে অ্যাম্বুল্যান্স। ভোর ৩টে 𝓀২০ মিনিট নাগাদ SSKM হাসাপাতালে ফিরে আসেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ফের তাঁকে S🍬SKMএর কার্ডিওলজি বিভাগের ১ নম্বর এসি কেবিনে পাঠানো হয়।