অনুব্রত থাকতেন রাজনীতি নিয়ে, গরুপাচারের টাকা কোথায় কী ভাবে খাটানো হবে তা ঠিক করতেন সুকন্যা মণ্ডলই। জেরায় ইডিকে এই কথা জানিয়েছেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। চার্জশিটে এই দাবি করেছে ইডি।চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, গরুপাচারের টাকা কোথায় কী ভাবে পাচার করতে হবে তা প্রথমে জানা ছিল না অনুব্রতর। তখন মনোজ মোহন্ত নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন মণীশ কোঠারি। এর পর কিছুদিনের মধ্যে টাকা পাচারে সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠেন বাবা ও মেয়ে।ইডি জানিয়েছে, টাকা পাচার হয়েছে এএনএম এগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড ও নীর ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেডের নামে। অনুব্রতকে এই ২ কোম্পানি কিনতে সাহায্য করেছিলেন মনোজ মোহন্ত। এএনএম এগ্রোকেমের ৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের নামে। আর সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে দেখানো হয়েছে অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনকে। ওদিনে নীর ডেভেলপার্সে ৯১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সুকন্যার নামে। ওই সংস্থার ডিরেক্টর দেখানো হয়েছিল সুকন্যার গাড়ির চলক তুফান মৃধাকে।ইডির পেশ করা তথ্য অনুসারে ২০১৮ – ১৯ সালে ১.১৮ কোটি টাকা আয়কর জমা দিয়েছেন বিদ্যুৎবরণ। তবে তাঁর দাবি, তিনি এই টাকার মুখ কখনও দেখেননি। তাঁকে দিয়ে কাগজে সই করিয়ে নিতেন সুকন্যা মণ্ডল ও মণীশ কোঠারি। একই দাবি করেছেন তুফান মৃধাও।চার্জশিটে ইজি আরও জানিয়েছে, কী করে গরুপাচারের টাকা সাদা করা হবে তা ঠিক করতেন সুকন্যাই। এমনকী শিব শম্ভূ রাইস মিল ও ভোটে বোম রাইস মিল পরিচালনা করতেন তিনিই। ফলে গরুপাচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ না থাকলেও সুবিধাভোগীর তালিকায় প্রথম নাম তাঁরই।