ভোটের মুখে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ধাক্কা খেল রাজ্য। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে-র বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ নিয়ে রাজ্যক💯ে এফআইআর করতে নিষেধ করেছে আদালত।
শুক্রবার মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীকে♛ বলেন, ‘চার্জশিট দাখিল হয়ে গিয়েছে। এফআইআর দায়ের নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আইনকে আইনের পথে চলতে দিন।’
মামলার প্রেক্ষিত
একটি জমি নিয়ে ৬৪ বছরের বিধব✨ার সঙ্গে তাঁর কয়েক জন আত্মীয়ের বিবাদ গড়ায় আদালতে। পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করার জন্য বাপের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন দাদা এবং অন্যান্য আত্মীয়। সুপ্রিম কোর্টে এই অভিযোগ জানান বৃদ্ধা। তিনি অভিযোগ করেন, একাধিক বার তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। মক্কেলকে মারধর করা হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ জানান তাঁর আইনজীবী। প্রমাণ হিসাবে সিসিটিভি ফুটেজেও হাজির করেন। বৃদ্ধা তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন। সুইটি, বেব🐠ি সবসময় যৌন আবেদন নয়, মামলার শুনানিতে পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের
আদালতের নির্দেশ
আদালতের নির্দেশে তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ব༒ৃদ্ধা অভিযোগ করেন, বিবাদি পক্ষের আইনজীবী বিচারপতি সিনহার স্বামী তদন্তকারী অফিসারদে🍒র উপর প্রভাব খাটাচ্ছেন। শুধু তাই নয় মামলা যাতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তার চেষ্টা করেন আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র সিনহা। তদন্ত যাতে সঠিক ভাবে হয় তার নির্দেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই বৃদ্ধা।
শুক্রবার সেই মামলায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি এবং চার্জশিট নিয়ে কোনও ম🅘ন্তব্য করেনি শীর্ষ আদালত। তবে রাজ্যকে জানানো হয়🔯েছে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ নিয়ে যেন কোনও অভিযোগ দায়ের না হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে আদালতের নির্দেশে বিচারপতি সিনহ🌼ার স্বামীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। বেশ কয়েকবার তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে চিঠি লিখে নিয়ে অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন। শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজ্যপালের সম্মানহানি🦩, জনস্বার্থ মামলা ফেরাল হাইকোর্ট
বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রাজ্যের বেশ ক𝓡য়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে। একাধিক মামলায় তাঁর রায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছে। শুক্রবারই তিনি নিউটাইনে বেআইনি ভাবে গড়ে ওঠা তৃণমূলের একটি অফিস তিনি ভেঙে দিতে ব𓄧লেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশঅন তোলেন।