ডিসেম্বর ডেডলাইন। অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসেই সরকার ফেলে দেবেন বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, সোমবার সেই ছকটাই যেন প্রকাশ্যে চলে এল বিধানসভায়। রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের💖 পুনর্বহালের জন্য শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রিসভা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে এমনই দাবি করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। আর এই নিয়েই সোমবার বিধানসভায় রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদে♓র গ্রেফতারের দাবি তুললেন শুভেন্দু। যদিও বিধানসভায় এই সংক্রান্ত মুলতুবি প্রস্তাব আনতেই স্পিকার তা খারিজ করে দেন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে বিধানসভায়? অ🎶তিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে ‘অযোগ্য’দের চাকরি দেওয়া হল কেন? এই প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু–সহ বিরোধী বিধায়করা হট্টগোলে মেতে ওঠে। আজ, সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ‘বিচারাধীন বিষয় আলোচনা নয়’, এই বলে শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিজ্ঞাদের প্রস্তাব খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।🐭 আর তারপরই ওয়াকআউট করে বেরিয়ে আসে বিজেপি বিধায়করা।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী? এদিন তাঁদের প্রস্তাব খারিজ হয়ে যেতেই ওয়াকআউট করেন শুভেন𓆏্𒁃দু এবং বাকি বিজেপি বিধায়করা। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘গোটা ক্যাবিনেটের পদত্যাগ চাই, জেল চাই। মন্ত্রিসভা তো বিধানসভার কাছে দায়বদ্ধ। যদিও অবৈধ নিয়োগ নিয়ে কেউ বলেন,ও মন্ত্রিসভার সু🦹পারিশ অনুযায়ী অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল, তাহলে তার দায় তো মন্ত্রিসভাকে নিতেই হবে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের 🔴লোগো বাতিলের কথা বলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরই গোটা মন্ত্রিসভার পদত্যাগ বা জেল চাওয়ার প্রস্তাব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য–সহ কয়েকজন কর্তাকে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। এবার গোটা মন্ত🍰্রিসভার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া কার্যত বিরল বলে মনে করা হচ্ছে।