বিজেপির প্রতীকে বিধায়ক হলেও বর্তমানে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে। তবে তা সত্ত্বেও মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খার🔜িজ করেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে আদালতে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা আশা ব্যক্ত করেন, ‘বড়দিনের ছুটির পরে সুপ্রিম কোর্ট খুললে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সুবিচার প๊াব।’
সোমবার শুভেন্দু বলেন, ‘মুকুল রায়ের সদস্যপদ বাতিলের জন্য অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। এবং আশা করি বড়দিনের ছুটির পরে সুপ্রিম কোর্ট খুললে আꦺমি সুবিচার পাব।’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘কুমড়োর বাইরের রংটা থাকে সবুজ। কাটলে ভিত🦹রে গেরুয়া। তেমনই দলত্যাগী বিজেপি বিধায়কের বাইরে তৃণমূলের হলেও বিধানসভার অন্দরে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্পিকার তাঁদের বিজেপি বলে চিহ্নিত করেন।’
সোমবার শুভেন্দু অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে সংবিধানের দশম তফসি🎉ল অনুসরণ করা হয় না। উল্লেখ্য, সংবিধানের দশম তফসিল অনুসারে, কোনও বিধায়ক দলবিরোধী আচরণ করলে সেই বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন স্পিকার। এই আবহে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব বিজেপি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর-উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল। কিন্তু, ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে মমতা-অভিষেকের উপস্থিতিতে পুত্র সমেত শাসকদলে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল। এই আবহে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তোলে গেরুয়া শিবির। যদিও স্পিকার সেই দাবি মানেননি। এমনকি বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানও করা হয় মুকুল রায়কে। বর্তমানে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন অপর এক বিজেপিত্যাগী বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। এই পদ থেকে মুকুলের ইস্তফ🐠ার পর রায়গঞ্জের বিধায়ককে এই পদ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রীতি অনুযায়ী, পিএসি চেয়ারম্যান পদে এতকাল বিরোধী দলের বিধায়কই বসতেন। তবে তৃণমূল সেই রীতি ভেঙেছে। এর আগে কংগ্রেসত্যাগী মানস ভুঁইঞাকে এই পদে বসানো হয়েছিল গত বিধানসভায়। আর এবার প্রথমে♒ মুকুল, তারপর কৃষ্ণ। খাতায় কলমে এরা বিজেপি বিধায়ক হলেও আদতে তারা তৃণমূলে। এই নিয়েই আপত্তি গেরুয়া শিবিরের।