আপাতত ২৪ মার্চ পর্যন্ত ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করতে পারবে না—এনআইএ।শুক্রবার এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ।হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেলেন ছত্রধর মাহাতো।গত শুনানিতে এনআইএ—র কাছে ছত্রধরের নিম্ন আদালতের সমস্ত নথি তলব করেছিল হাইকোর্ট। তবে এদিনও সেই নথি আদালতে না—আসায়, এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।এদিনের নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত এরাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন না—ছত্রধর।যদি কোথাও যেতে হয়, সেক্ষেত্রে এনআইএ—র বিশেষ আদালতের অনুমতি নিতে হবে ছত্রধরকে। ২৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।ছত্রধর মাহাতোকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল এনআইএ। এদিন এনআইএকে ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের যাবতীয় নথিপত্র, হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃ্ষ্ণণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।তবে এদিন সেই নথি আদালতে এসে পৌঁছয়নি।প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এনআইএ—র বিশেষ আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে ছত্রধর মাহাতো—সহ ৫ জনকে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আবেদন করা হয়।২০০৯ সালে রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ ও ২০০৭ সালে সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনের কিনারা করতে ছত্রধরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারিরা।২০২০ সালের ২২ অক্টোবরে এনআইএ—র বিশেষ আদালত নির্দেশ দেয়, যেহেতু ঝাড়গ্রাম নিম্ন আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছিল, সেকারণে ছত্রধর মাহাতো—সহ ৫ অভিযুক্তের জামিন খারিজের জন্য এনআইএকে সেখানেই আবেদন করতে হবে। হাইকোর্টের বেশ কয়েকটি এজলাস ঘুরে বর্তমানে মামলার শুনানি শুরু হয় প্রধান বিচারপতি টিভিএন রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়র ডিভিশন বেঞ্চে।মামলার গত শুনানিতে ছত্রধর মাহাতোর আইনজীবী দেবাশিস রায় আদালতে মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানান, ২০০৭ সালে সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুন হন। তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে (৩০২, ১২৩) ধারায় খুন ও দেশদ্রোহীতার মামলা দায়ের করা হয়। যার সর্বোচ্চ সাজা আমৃত্যু কারাদণ্ড। ১৩ বছর বাদে ছত্রধর মাহাতো—সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে (ইউএপিএ)ধারা যোগ করার কারণ কি?যদিও এনআইএ—র তরফের আইনজীবী হাইকোর্টে দাবি করেন, তাঁদের আইন অনুযায়ী, এনআইএ—র মামলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হতে পারে না। মূলত এনআইএ—র মামলাগুলি বিশেষ আদালতে হবে তা না—হলে, হাইকোর্ট দেখবে। তাই আদালতের কাছে এনআইএ—র আইনজীবী আবেদন করেন, অবিলম্বে যাতে ছত্রধর মাহাতোর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।