তোলা না দেওয়ায় খাস কলকাতায় প্রোমোটারকে পিটিয়ে খুন! ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলায়। কয়েকদিন আগে ওই প্রোমোটারকে বেধড়ক মারধর করেছিল দুষ্কৃতীরা। বুধবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই প্রোমোটারের মৃত্যু 🌄হয়। মৃতের নাম সাদিক খান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে তিলজলা। এছাড়া প্রোমোটারকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ꦏতাঁর এক আত্মীয়। ৫ বছর ধরে প্রোমোটারের কাছ থেকে তোলা চেয়ে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। অবশেষে খুন হতে হল প্রোমোটারকে।
আরও পড়ুন: জন্মদিন পালনের পরে ব্যাঙ্ক ম্꧒যানেজার প্রেমিকাকে খুন, গ্রেফতার স্কুলছুট ব𝕴য়ফ্রেন্ড
পরিবারের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা এর আগে বহুবার তোলা চেয়ে হুমকি দিয়েছে। কিন্তু, টাকা দেননি সাদিক খান। তিনি থানায় বেশ কয়েকবার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। প্রোমোটার খুন হওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পরিবারের আরও অভিযোগ, তোলা দিতে অস্বীকার করার জন্য দুষ্কৃতীরা সাদিক খানের বাড়ি নির্মাণের ব্যবসা একপ্রকার বন্ধ কর❀ে দিয়েছিল। এমনকী তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। গত রবিবার তাঁকে ফোন করে দুষ্কৃতীরা তোলা দাবি করে বলে অভিযোগ। এরপর ফোন পেয়ে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি ♈থেকে বেরিয়ে যান সাদিক খান। পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের ফোন করে জানান, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি ফিরবেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাইপো। এই ঘটনায় তিনিই একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী।
এরপর প্রোমোটারের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের বচসা বাঁধে। তখন দুষ্কৃতীরা প্রোমোটারকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে একাধিবার মারধর করে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন প্রোমোটারের ভাইপো। পরে দুষ্কৃতীরা রক্তাক্ত অবস্থায় প্রোমোটারকে রাস্তায় ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অ♚বস্থায় প্রোমোটারকে প্রথমে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখান থেকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়♔ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালীন বুধবার মৃত্যু হয়েছে সাদিক খানের। ঘটনায় প্রোমোটারের পরিবারের সদস্যরা বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক।