কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। পর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় পশ্চিমবঙ্গকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। তারপরে কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে তৎপর হল রাজ্য। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে জেলা স্তরে নোডাল কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে যাতে পরবর্তী সময়ে পরিবেশ আদালতে ধাক্কা খেতে না হয় সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত ꧋নিয়েছে রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রক।
পরিবেশ মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অ��নཧুযায়ী, শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি থাকবে। সেই কমিটি জেলারস্তরের কমিটির কাছ থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করবে। শুধু তাই নয়, প্রতি সপ্তাহে জেলা স্তরের কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে বায়ু দূষণ রোধ করা নিয়ে নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা হবে। পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছে, এসবের পাশাপাশি শব্দ দূষণ রোধ করার জন্য বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত প্রধান প্রভৃতি জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন জানানো হবে। বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে যাতে শব্দ দূষণ না হয় সেই সব নিয়ে আবেদন জানানো হবে তাদের। সে ক্ষেত্রে নাগরিকদের সচেতন করার পাশাপাশি শব্দ দূষণের ফলে জরিমানা এবং যে কারাদণ্ড রয়েছে সে সম্পর্কে সতর্ক 🧜করার আবেদন জানানো হবে বলে পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে পশꦰ্চিমবঙ্গ সরকারকে ৩,৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জাতী♌য় পরিবেশ আদালত। রাজ্যে পর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে দূষণ বাড়ছে। এই অভিযোগ তুলে রাজ্যকে এই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (এনজিটি)। এনজিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে গোয়েলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, রাজ্যের সাংবিধানিক দায়িত্ব হল রাজ্যবাসীকে দূষণমুক্ত পরিবেশ প্রদান করা। কিন্তু, তাতে ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
আগামী দু-মাসের মধ্যে রাজ্যকে এই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এনজিটি। নির্দিষ্๊ট সময়ের মধ্যে রাজ্য এই টাকা ক্ষতিপূরণ না দিলে তার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে বেঞ্চ। তারপরেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা🍬 নিয়ে টনক নড়েছে রাজ্যের।