গত মঙ্গলবার গভীর রাত অবধি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতির বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে বিভাগের প্রধানদের কাছে ডেঙ্গি নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত অনেক বিভাগ মতামত না জানানোয় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়🌺ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধ🐼দেব সাউ। একইসঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হওয়ার পরেও গঠনমূলক কোনও আলোচনা না হওয়া নিয়েও অসন্তুষ্ট উপাচার্য।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে বিনামূল্যে চিকিৎসা, ব্যবস্থা করলꦏ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
উপাচার্যের বক্তব্য, বিভাগীয় প্রধানদের কাছে ডেঙ্গি আক্রান্ত পড়ুয়াদের নিয♏়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বা কীভাবে ক্লাস করানো যেতে পারে? সেই সংক্রান্ত বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এখনও বহু বিভাগ মতামত দেয়নি। ফলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিভাগগুলি মতামত জানালে সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা সম্ভব হত বলে জানান উপাচার্য। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে। কিন্তু দেরি করে মতামত জানালে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন উপাচার্য। কার্যত বিভাগগুলির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অস্থায়ী উপাচার্য।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ছাত্র ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া সপ্তাহ খানেক আগে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক পড়ুয়ার। তারপরে বিশ্ববিদ্যালয়কে আবর্জনা পরিষ্কার ﷽করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিছুদিন আগেই কলকাতা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ নিজেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করতে গিয়ে আবর্জনার স্তূপ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পরামর্শ দিয়েছিল🔥েন, ‘এখন ঘরে বা অফিসে বসে থাকার সময় নয়। সকলকে মাঠে নামতে হবে।’ এরপরে দ্রুত সেই আবর্জনা পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান ১৩ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা, আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়নি। সেগুলি ১৩ দিনে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। উপাচার্যের মতে, এই বিষয়ে তাঁকে আরও ১৩ মাস সময় দেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার রাত দুটোয় শেষ হয়েছিল কর্মসমিতির বৈঠক। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত ছাত্ররা নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস বা হস্টেলে ঢুকতে পারবে না। যদিও অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টে যে ছাত্রদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ হয়েছিল সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়ন🦩ি। এ বিষয়ে উপাচার্য জানান,ইসি বৈঠকে গঠনমূলক কিছু আলোচনা হয়নি। র্যাগিং, অ্যান্টি র্যাগিং নিয়ে গুরুত্বপূর্𒊎ণ কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি।