মাধ্যমিকে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষার দিন ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুল♍েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদি সেটিকে প্রশ্ন ফাঁস বলে ꧅মানতে নারাজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই অবস্থায় পরীক্ষার শেষ কয়েকটা দিন যাতে অপ্রতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য আগেভাগেই ব্যবস্থা নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্ন পত্র ফাঁস রুখতে আরও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল। এ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে ৮ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশ অনুযায়ী, পরীক্ষা 🐻কেন্দ্রের দরজায় এবার পুলিশ কর্মীরা মো🌼তায়েন থাকবেন। কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল ফোন বা বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছে কিনা তা তারা খতিয়ে দেখবেন। এছাড়া, পরীক্ষা কেন্দ্রের জানলা খুলে রাখতে বলা হয়েছে। অনেক অসুস্থ পরীক্ষার্থী হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাদের ক্ষেত্রেও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অচেনা কাউকে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ফোন নির্দিষ্ট জায়গায় রাখছেন কিনা তা জানার জন্য লগ বুকে লিখে রাখার কথা জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সেই নির্দেশকেই কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে বলা ꦰহয়েছে। তবে এই প্রথম পুলিশকে দিয়ে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হল।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন গত শুক্রবার। তিনি পরীক্ষা চলাকালীনই ১ টা ৪২ মিনিটে টুইটারে ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ৩টি পাতার ছবি আপলোড করে প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অভিযোগ তোলেন। এরপরে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। একইসঙ্গে, প্রশ্ন পত্র𝓀 ফাঁস নিয়ে পর্ষদের൲ বিবৃতিতে জানানো হয় এটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করে পর্ষদ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি, পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল ১১টা ৪৫ মিনিটে। ১২ টায় পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ফলে যখন এই প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়েছে তখন পরীক্ষার্থীরা হলেই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরীক্ষার উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ তারপর খাতা জমা দিয়ে বাইরে আসার সুযোগ পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। ফলে বিষয়টিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস বলা যায় না বলে মনে করছে পর্ষদ।