যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক রাজন🍒ৈতিক রঙ দেখে পরীক্ষায় নম্বর দেন, এসএফআই না করলে নানাভাবে হেনস্থা করা হয় এমন অভিযোগ উঠেছিল। যার জেরে গত শুক্রবার ঘেরাও, অনশনও হয়েছিল। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠা এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রিভিউয়ের আবেদন করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই দাবি মেনে নিয়েছিল।
তবে এসবের মধ্য়েই একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের এক শিক্ষককে এক ছাত্র গাঁদা ꦚফুলের মালা ও পলিথিনের প্যাকেট থাকা কিছু একটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ওই ছাত্র ওই বিভাগের পড়ুয়া বলে খবর। এরপর ওই শিক্ষক অপর শিক্ষককে ডাকার চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই ভিডিয়োকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে দাবি করা হচ্ছে স্যারকে কার্যত হেনস্থা করার জন্যই এই পথ নেওয়া হয়েছিল।
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে। তাদের দাবি এভাবে যদি শিক্ষকদের হেনস্থা করা হয় তবে তারা পরীক্ষার মূল্যায়ন করা থেকে সরে আসবেন। বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হেনস্থার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক সম্পর্কের ঐতিহ্যের পরিপন্থী। মুষ্টিমেয় ছাত্রছাত্রী সামাজিক মাধ্যমে কুৎসা, ভয় দেখানো, সহ যে ধরনের অপরাধমূলক ভাষা ব্যবহার করছেন তা থ্রে෴ট কালচারকেই প্রমোট করে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশকেই ব্যহত করে। সেই সঙ্গেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কের সুস্থ ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখতে বাধ্য হব।
এই ঘটনাকে ঘিܫরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, যে শিক্ষককে ফুলের মালা দেওয়া হচ্ছিল তিনি হলেন স্বান্ত্বন চট্টোপাধ্য়ায়। আর যে পড়ুয়ার এই কী☂র্তি তিনি আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ভিডিয়ো তুলে ফেসবুকে আপলোডও করেছিলেন।
আর ওই ছাত্রের দাবি, স্যার অসুস্থ ছিলেন বলে শুনেছিলাম। তিনি আসতেই গাঁদা ফুলের মালা, ওআরএস আর গ্লু😼কোজ🔴 নিয়ে গিয়েছিলাম। আন্তরিকতার সঙ্গে। তিনি মালা নেননি। ওআরএস আর গ্লুকোজ নিয়েছেন। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন কমিউনিস্ট বলে তিনি হয়তো মালাটা নেননি।