আজ, রবিবার প্রয়াত হলেন কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর রাম পেয়ারি রাম। তাঁর মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা। শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। গত সোমবার শ্বাসকষ্ট বাড়ে এবং বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আলি🅘পুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেলা ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতার। রামপেয়ারি রামের মৃত্যুতে কলকাতা বন্দর এলাকায় রাজনীতির একটি অধ্যায় শেষ হল। শোকের ꦇছায়া তাই কলকাতা বন্দর এলাকায়। কলকাতা পুরসভার ৭৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি।
এদিকে টানা ১১ বারের কাউন্সিলার নির্বাচিত হন রাম পেয়ারি রাম। আগে ছিলেন কংগ্রেসে। পরে তৃণমূল কংগ𒐪্রেস যোগ দেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত ৬ বারের বিধায়কও ছিলেন তিনি। প্রথমে কবিতীর্থ এবং পরে বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। এলাকায় তাঁকে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক নেতা হিসাবে পরিচিতি ছিল। তিনি মজা করে বলতেন, ‘আমার নামের আগে রাম পিছে রাম। আমার মতো ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি হয় না।’ ৭৯ নম্বর ওয়ার্ড—কলকাতা পুলিশের বন্দর বিভাগের একবালপুর, খিদিরপুর এবং তারাতলা থানা এলাকার মধ্যে পড়ে। তার সংলগ্ন এলাকাগুলি হল, খিদিরপুর, বাবু বাজার, মোমিনপুর, মাঝেরহাট এবং টিকিয়াপাড়া। এই ওয়ার্ড থেকেই বারবার পুরসভা ভোটে জয়ী হয়ে কাউন্সিলর হন রাম পেয়ারে রাম। একসময় কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন।
অন্যদিকে ১৯৭১ সালে কলকাতার কবিতীর্থ আসনে প্রথমবার কংগ্রেসের বিধায়ক হন রামপেয়ারি রাম। পরের বছরের নির্বাচনে দ্বিতীয়বার জয়ী হন। ১৯৭৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন রামপেয়ারি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসে বামফ্রন্ট সরকার। পরের বিধানসভাতেও লড়াই করে হেরে যান। দু’বার ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা কলিমুদ্দিন শামসের কাছে পরাজিত হন। ১৯৮৭ সালে ফিরে আসেন স্বমহিমায়। আবার বিধায়ক নির্🍬বাচিত হন বন্দর এলাকার এই নেতা। তার পর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত পর পর বিধায়ক হন রামপেয়ারি। ২০১১ সালে রামপেয়ারি রাম ও তাঁর স্ত্রী হেমা রাম যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটেও কাউন্সিলর হন তিনি। এই রাজনীতিবিদের অবশেষে আজ জীবনাবসান হল। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু পথচারীর, দীপাবলির দিনেই নিভে গেল মেꦏয়ের জীবনেরඣ আলো
এছাড়া কলকাতার পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন রামপেয়ারি। শোভনই তাঁকে প্রথম পুরসভার মেয়র পারিষদ হিসাবে দায়িত্ব দেন। পরে ফিরহাদ হাকিম মেয়র হয়ে বর্ষীয়ান নেতাকে ওই দায়িত্বে রেখে দেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ সকালে হাসপাতালে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ২০২২ সালে কলকাতার খিদিরপুর এলাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ত♎ৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের রাম পেয়ারে রামের ছেলের রামকিঙ্কর রামের। খিদিরপুরের বাবুবাজারে কাঁটাপুকুর রোডে সার বোঝাই একটি লরি উল্টে যায় তৃণমূল কাউন্সিলর রাম পেয়ারি রামের ছেলের গাড়ির উপর। আগামীকাল, সোমবার শেষকৃত্য হবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার। ওই দিন তাঁর মরদেহ প্রথমে বিধানসভায় তারপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।