একুশের নির্বাচনের পরই গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের জঙ্গলমহলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোকে। তার পর থেকে তিনি জেলবন্দিই। এবার গৃহবন্দি থাকার আবেদন 🍃জানালেন একদা এই মাওবাদী নেতা। তাঁকে রাজধানী এক্সপ্রেস ‘হাইজ্যাক’ মামলায় গত ২ꦅ৮ মার্চ গ্রেফতার করে এনআইএ। আগামী সোমবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। কিন্তু জেলে তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। তাই নিজের আইনজীবী মারফৎ গৃহবন্দি থাকার আবেদন জানালেন জঙ্গলমহলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছত্রধর।
ছত্রধর মাহাতোকে ঝাড়গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি, ২০০৯ সালে🐽র অক্টোবর মাসে ঝাড়গ্রামে যে রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাক হয়েছিল তার সঙ্গে যোগ রয়েছে ছত্রধর মাহাতোর। আর সেই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। সুতরাং আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ এখনও প্রমাণ হয়নি। সুতরাং তিনি হাইজ অ্যারেস্টে থাকতে পারেন বলে তাঁর দাবি। তাই আবেদন করেছেন তিনি।
ছত্রধর মাহাতোর আইনজীবী আদালতে তাঁর মক্কেলকে হাউজ অ্যারেস্ট করে রাখার আবেদন জানান। সেখানে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এবং ছত্রধরের শারীরিক অসুস্থতাকে তুলে ধরা হয়েছে আবেদনে। সূত্রের খবর, এই আবেদন করার 🗹পর আগামী সোমবার মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সেদিনই এনআইএ’র পক্ষ থেকে বিশেষ আদালতে এই আর্জির শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর ছত্রধর মাহাতো জেলে ছিলেন। কিন্তু ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস আটকানোর অভিযোগে ছত্রধরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলারই তদন্ত চেয়ে আদালতে গিয়েছিল এনআইএ। আদালত তাতে সম্মতি দেয়। ২০০৯ সালে লালগড়ের সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনে ছত্রধর–সহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা হয়। ২০১০ সালে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছ🥃িলেন ছত্রধর। পরে জামিনও পান। ১১ বছর পর এই বিধানসভা নির্বাচনে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পান ছত্রধর। তারপরই 𝄹গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।