আরজি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের চারতলা। যেখানে রয়েছে চেস্ট ডিপার্টমেন্টেরജ বড় সেমিনার হল। ঘরের ভিতর আছে একটি কাঠের পোডিয়াম। তার উপরেই অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে মহিলা জুনিয়র চিকিৎসককে। চোখ, মুখ এবং যৌনাঙ্গ রক্তাক্ত। সারা শরীরের ১১টি জায়গায় ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। নিম্নাঙ্গে কো꧋নও পোশাক নেই। মহিলা চিকিৎসকের দেহ পড়ে ছিল নীল তোষকের উপর। মাথার কাছে খোলা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ভাঙা চশমা, চুলের ক্লিপ। শুক্রবার কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এমন অবস্থাতেই মিলল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। আর তা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি উত্তাল। সিপিএম–বিজেপি এই ইস্যুতে হাওয়া গরম করছে। তখনই অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ।
আজ, শনিবার আরজি কর হাসপাতালের নন ইমার্জেন্সি বিভাগে এই ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি চলছে। বিক্ষোভ মিছিল করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সিকিউর♓িটি গার্ডের কাজ করত। রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আর দফায় দফায় জেরা শুরু হয়েছে। সিপিএম এবং বিজেপি এই ঘটনাকে সামনে 🙈রেখে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। সিপিএম এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করছে। তাই আজ, শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ সিপিএম নেতাদের অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বদলে যেতে চলেছে পাম অ্যাভিনিউয়ের নাম! মমতার সৌজন্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ꦇসরণী
আরজি কর হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে মৃতার বাবাকে ফোন করে কথা বলেন। তারপর পুলিশকে দ্রুত তদন্ত করে দোষীকে কড়া শাস্তি দিতে বলেছেন। এবার জুনিয়র ডাক্তারদের𓆉 বিক্ষোভ মিছিল সঙ্গত মেনে নিয়ে দোষীর ফাঁসি চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। বলা হয়েছে, ধর্ষণ করা হয়েছে মহিলা চিকিৎসককে। তারপরে গলা টিপে খুন করা হয়। যার জেরে গলার হাড় ভেঙে যায়। এই আবহে আজ এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা অবশ্যই খারাপ। পুলিশ তাঁদের সেরা কাজ করার চেষ্টা করছেন।’
তাছাড়া এই ঘটনা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এখনও প🧜র্যন্ত জানা যায়নি রাত ৩টে নাগাদ ঠিক কী হয়েছিল সেমিনার হলে। এই ঘটনার পর সিপিএম যখন আওয়াজ তুলেছে তখন জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি আজ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘সিপিএমের মনে রাখা উচিত বানতলায় চিকিৎসককে খুন করেছিল কমরেডরা। ধানতলায় হয়েছিল গণধর্ষণ। সিঙ্গুরে তাপসী মালিকের ঘটনা, নন্দীগ্রাম গণধর্ষণ এবং আর অনেক ভয়ঙ্কর ঘটনা। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা অবশ্যই খারাপ। পুলিশ সেরা কাজটা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সিপিএম এই ঘটনা নিয়ে কোনও কথা বলবে না।’