💜 আজ বুধবার বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন বসেছিল। সেই অধিবেশনের শেষে বিধায়কদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, ব্যক্তি ভুল করলে তার দায় দল নেবে না। নৌসর আলি কক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সুব্রত বক্সী, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রত্যেক এই একই কথা ছিল।
♉ঠিক কী নির্দেশ জারি হয়েছে? বিধায়কদের এই বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়, বিধানসভা অধিবেশনের প্রত্যেক দিন হাজির হতে হবে। আর দল কারও ভুলের দায় বহন করবে না। তাই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। কোনও ভুল পথে পা দেওয়া যাবে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়–অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পর রাজ্য–রাজনীতিতে বিরোধীরা কটাক্ষ করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। তাই এমন কোনও কাজ করা যাবে না যাতে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র চলে যায়।
কেন হঠাৎ এমন নির্দেশ? সূত্রের খবর,⛦ বিজেপি এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রীদের ভাবমূর্তিতে কালি লাগিয়ে দিতে চাইছে। আবার কয়েকজন নেতা সত্যিই এমন কাজ করেছেন যাতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। ൩পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনায় দল যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছে। তাই এবার আগাম দায় নিতে না চাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেখানে দলের সুপ্রিমো সাধারণ জীবনযাপন করেন সেখানে সহকর্মীরা বৈভবের জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে উঠলে চোখে পড়বেই। তাই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিধায়কদের।
♒আর কী জানা যাচ্ছে? এখন তৃণমূল কংগ্রেসের মোট ২১৬ জন জনপ্রতিনিধিকেই রোজ হাজিরা থাকতে বলা হয়েছে।এই বিশেষ অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল আনা হতে চলেছে। সব ক’টি বিলেই ভোটাভুটির সময় বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদি কোনও বিধায়ককে অধিবেশন ছেড়ে যেতে হয়, তাহলে পরিষদীয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আগাম জানাতে হবে বলে সূত্রের খবর।