ফিরহাদ হাকিমকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ঘটে গেল এক অভূতপূর্ব ঘটনা। আর তাতেই তাঁদের ঝামেলা আপাতত মিটল। যদিও বিধানসভার পরিস্থিতি আজও উত্তপ্ত ছিল। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যতবার প্রশ্নের উত্তর দিতে ওঠেন, ততবারই বিরোধীরা প্রতীকী ওয়াক আউট করেন। এই পরিস্থিতিতে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, ‘মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম একটা কথা বলতে চান। আপনারা দয়া ক𓃲রে হাউস ত্যাগ না করে ওঁর কথাটা একবার শুনুন।ꦡ’ এরপর নিজেদের আসনেই বসে মন্ত্রীর কথা শোনেন বিজেপি বিধায়করা। আর অধিবেশন কক্ষেই ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু নিজেও।
এদিকে কদিন আগে ফিরহাদ হাকিমের একটি মন্তব্য𒊎কে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বাঁধে। তাই তাঁকে আগেই ‘বয়কট’ করে বিজেপি। বিধানসভার অধিবেশনে ফিরহাদের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন শুভেন্দু অধিকারীরা। তাঁরা দাবি করেন, তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করতে হবে। এরপর আজ বলতে উঠে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে ফিরহাদ বলেন, ‘মাননীয় সদস্যরা যখন প্রশ্ন করেন তখন উত্তর দিতে হয়। যখন আমি উত🐟্তর দিচ্ছি, তখন বেরিয়ে যাচ্ছেন। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, আপনারা বিশ্বাস করেন আমি সেকুলার নই? বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আমাকে ধর্মনিরপেক্ষ মনে করেন কিনা? কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে কী বলেছি সেটা নিয়ে এরকম আচরণ করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জন্য পৃথক হস্টেল, যাদবপুর 🐻বিশ্ববিদ্যালয়ে কড়া নিরাপত্তা রাখা হচ্ছে
অন্যদিকে এই কথা যখন বলছেন মন্ত্রী ফিরহাদ তখন বিধানসভায় পিন পড়ার নীরবতা। স্বয়ং বিরোধী দলনেতা চুপ করে শুনছেন ফিরহাদ হাকিমের কথা। এরপরই শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘আপনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেতে পারেন। আপনাকে মন্ত্রী বা মেয়র হিসাবে ডেকেছিল। আমরাও সনাতন হিন্দুর কথা বলি। এতে আপত্তির নেই। আমাদের আপত্তি দ্বিতীয় অংশে। আমাদের সেটা মনে হয়েছে এই আহ্বান যথাযথ নয়। আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে সেটা বলছি না। আপনি দুঃখিত সেটা বলুন। এখানেই মিটে যাবে।’ জবাবে ফিরহাদ হাকিম কথায়, ‘আপনারা সকলেই জানেন, বিরোধী দলনেতাও জানেন, আমি নিজে দুর্গাপুজো 🌳থেকে শুরু করে কালীপুজো সবই অর্গানাইজ করি। উনিও অনেক সময় গিয়েছেন ♍আমার ওখানে। আমি ধর্মনিরপেক্ষ ছিলাম, আছি, থাকব।’
ফিরহাদ হাকিমের এই বক্তবꦡ্যের পরে আর বিরোধীরা ওয়াকআউট করেননি। পরিস্থিতি গম্ভীর হয়ে ওঠে। বিধানসভায় পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি জন্মগত ধর্মনিরপেক্ষ। আমি ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিশ্বাস করি। ইসলাম ধর্মকে মানি। কিন্তু অন্য ধর্মকে সম্মান করি। ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়েই আমি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করব। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি ধর্মনিরপেক্ষতায়ꦦ বিশ্বাসী। আমি ভারতের সংবিধানে বিশ্বাস করি। আমি আমার পার্টির ম্যানিফেস্টো বিশ্বাস করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে বিশ্বাস করি। বিরোধীদলের ভূমিকা নিয়ে আমি কোন কথা বলবো না।’