আজ, বৃহস্পতিবার সকালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। এই অভিযান চলাকালীন বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে এসে হাজির হলেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। কিন্তু আজকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হানা চলার কারণে তাঁকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। রেশন বণ্টন ‘দুর্নীতি’ মামলায় তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকেরা। তখনই বিজয়া সারতে মন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায় এবং ৩ಌ৪ নম্বর ওয়ার্ড෴ের জনপ্রতিনিধি রঞ্জন পোদ্দার।
এদিকে হাতে মিষ্টির বড় প্যাকেট নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ঢুকতে যান সব্যসাচী। গেটের প্রহরায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তখন তাঁকে জানান ভিতরে ইডি তল্লাশি চলছে। তখন সব্যসাচী বাইরে থেকে মিষ্টির প্যাকেট মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে চাইলেন। ইডির এক অফিসার তখন বাইরে এসে জানালেন, এখন তদন্ত চলছে। মন্ত্রী নিজেই প্যাকেট ফিরিয়ে দিতে বলেছেন। তবে এই ঘটনায় প্রথমে বেশ বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছিল ইডি। পরে সামলে উঠে আটকে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায় বলেন, ‘আমাদের ঐতিহ্য মেনেই গুরুজনের সঙ্গে বিজয়া করতে এলাম।꧃ কিন্তু এরা বাঙালি সংস্কৃতিতে আঘাত হানছে।’
অন্যদিকে এভাবে রেশন দুর্নীতির তদন্তের মাঝে হঠাৎ মিষ্টির প্যাকেট হাতে সব্যসাচীর আগমন বেশ কৌতূহল তৈরি করেছে। কারণ এখন যে বিধায়ক বা মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি হানা দেবে সেখানেই যদি মিষ্🍬টির বাক্স নিয়ে কেউ না কেউ পৌঁছে যায় সেটা বেশ চাপের হবে। তাই ইডি নতুন কোন কৌশল নেয় এখন সেটাই দেখার। কেন এমন সময়ে গেলেন সব্যসাচী? এই বিষয়ে সব্যসাচী দত্ত জানান, তিনি জানেন না ইডি হানা দিয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে। তাহলে কি দুটি ঘটনা কাকতালীয়? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। জ্যোতিপ্রিয়র সল্টলেকের বাড়ির সামনে তোলপাড় পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রথমে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির সামনে আসেন সব্যসাচী। তারপরেই সেখানে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন: নার্সিংয়ে ভর্তিতে দুর্নীতির অভি𝓡যোগ, স্বাস্থ্য দফতর🍌ের জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট
ঠিক কী বলছেন সব্যসাচী? সব্যসাচী দত্ত সল্টলেকের বাসিন্দা। তার উপর বিধাননগর পুরসভার চেয়াಌরম্যান। তিনি যখন হাজির হন তখন সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি সম্প্রচারিত হয়েছে। তাহলে তিনি জানেন না সেটা অনেকে মানতে পারছেন না। আসলে ইডিকে বিপাকে ফেলতেই এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সব্যসাচী দত্ত সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি বুধবার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে প্রণাম করে বিজয়া দশমী সেরে এসেছি। বৃহস্পতিবার এলাম বালুদার বাড়িতে। স🌞েখানে পৌঁছে তো আমি অবাক। আমি কিছুই জানতাম না। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে আমি বেরিয়েছি। সকাল থেকে টিভি দেখিনি। তাই ইডির অভিযানের বিষয়টি জানা ছিল না। শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাতেই মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে এসেছিলাম। কী হচ্ছে, না হচ্ছে, আইন আছে, সেখানেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’