ইন্ডিয়া জোট নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। তারা জোটে থাকবে কিন্তু সমন্বয় কমিটিতে থাকবে না। অনেকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো স্ট্র্যাটেজি। আর এই নীতি অনেকেই ভাল চোখে দেখেননি। কিন্তু জোটধর্ম বজায় রাখতে অনেকেই খোলাখুলি মন্তব্য করছেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ‘ওদের দলেꦑর ব্যাপার’ বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘কালারফুল’ বিধায়ক মদন♍ মিত্র সিপিএমের এই নীতিকে ‘লিভ ইন’–এর সঙ্গে তুলনা করলেন। এমনকী আজ, বুধবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে ‘লিভ ইন’–এর মানে ব্যাখ্যা করলেন কামারহাটির বিধায়ক। আর তখনই সিপিএমের অবস্থা ‘লিভ ইন’ সম্পর্ক রাখার মতো বলে ধুয়ে দিলেন তিনি।
এদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের তা൩মাম বিরোধীরা এক ছাতার তলায় এসেছে। বারবার বৈঠক হয়েছে। সংসদে একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোই লক্ষ্য। কারণ বিজেপি যেভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আক্রমণ করছে তাতে এটা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। বিরোধীদের মিলিত মঞ্চের নাম ‘ইন্ডিয়া’। আর জাতীয় রাজনীতিতে সিপিএমের এখন অবস্থান হল ‘ইন্ডিয়া’ জোটে থাকব, কিন্তু সমন্বয় কমিটিতে কোনও প্রতিনিধি রাখবে না তারা। এটাকেই তুলোধনা করেছেন মদন মিত্র।
মদনের আক্রমণ ঠিক কেমন? অন্যদিকে এই নীতি নিয়ে আজ প্রশ্ন করা হয় কামারহাটির বিধায়ককে। তখনই সিপিএমকে ধুয়ে দেন মিত্র মদন। এদিনই কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র সিপিএমকে তুলনা করলেন ‘লিভ ইন’ সম্পর্কের সঙ্গে। তাঁর কটাক্ষ, ‘সিপিএম মানে হল, আমি লিভ ইন করব, তোমায় নিয়ে ফুর্তি করব। তোমায় নিয়ে বিলেত যাব রে। দরকার হলে বাচ্চাও আসবে, কিন্তু বাচ্চাকে বাপের নাম দেব না। আমার যেমন বেণী তেমনি রবে, চুল ভেজাব না। সব কি🃏ছুতে থাকব। ইন্ডিয়ার খাব, ইন্ডিয়ার পরব, কিন্তু হাঁড়ি ছোঁব না।’ মদনের এই মন্তব্য নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: অবশেষে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন অনামিকা, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে মিলল🐬 সাফল্য
আর কী বলেছেন মদন? বিধানসভার বাইরে সিপিএমের এই নীতি নিয়ে সরব হন। আর মদন মিত্র বলেন, ‘ওরা লিভ ইনে বিশ্বাস করে। ওরা বিয়ে বাড়িতে যায় না। কারণ উপহার দিতে হবে। কিন্তু শ্রাদ্ধ বাড়িতে যায়। কারণ কিছু দিতে হবে না। একটা রজনীগন্ধা নিয়ে চলে গেলেই হয়।’ তবে মদন মিত্রকে কড়া ভাষায় পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সুজনবাবু বলেন, ‘মদন মিত্র নাকি কী সব মন্তব্য করেছেন। সিপিএমের কী করা উচিত, কী না করা উচিত এই সব বিষয়ে। রাজনীতির কথার উত্তর রাজনীতির নেতার দিলেই তো ভাল, রাজনীতির কথা রসেবসে হয় না। উনি রসেবসে আছেন, তাই থাকুন। ‘ও লাভলী’তে আ🅷ছেন, তাই থাকুন। মুখ্যমন্ত্রীর কালারফুল বয় আছেন তাই থাকুন। সকাল ৭টায় একরকম আর সন্ধ্যে ৭টায় আর একরকম উনি তাই থাকুন।’