আজ, সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে একশো দিনের কাজের টাকার ফয়সালা চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন তিনি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ধরনা মঞ্চ থেকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তবে এই বৈঠকের পর অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন। আর সেই অপেক্ষার অবসানে যদি বাংলার মানুষের পক্ষে সদুত্তর না আসে তাহলে ১ নভেম্বর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বহত্তর আন্দোলন ๊হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক। যা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি।
রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার পর মঞ্চ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক। আর বলেন, ‘আমার তিনটে দুটি প্রশ্ন ছিল। কিন্তু রাজ্যপালের কাছে উত্তর ছিল না। ২১ লক্ষ ৭৫ হাজার পরিবার দু’বছর কাজ করে টাকা পায়নি। তাই তিন সপ্তাহ সময় নিন। আর জানতে চান কোন আইনে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর আগামী ৩১ অক্টোবরের পরে জানাতে হবে টাকা আটকে রাখার কারণ। সদুত্তর না পেলে আন্দোলন থে𝔉কে সরব না।’ সুতরাং এখন চাপ বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যপালের উপর বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে চাপ এতটাই বেড়েছে যে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করার পর নয়াদিল্লি রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই বিষয়ে অভিষেক মঞ্চ থেকে বলেন, ‘আজ রাজ্যপাল আমাকে কথা দিয়েছেন, দু’সপ্তাহ নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কথা বলে জানাবেন। আমি আশা করছি একটা বিহীত উনি করবেন। দলের শীর্ষ নেতাদের এবং দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বললাম। রাজ্যপাল সৌজ🐼ন্যতা দেখিয়েছেন। পাল্টা আমাদেরও দেখানো উচিত। তাই আজ কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা যদি না দেখি তাহলে ১ নভেম্বর থেকে আন্দো♐লন শুরু হবে। সেটা টাকা না পাওয়া পর্যন্ত থামবে না।’
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল–অভিষেক বৈঠক সফল, নয়াদিল্লি সফরে বোস, উ༒ঠে যেতে চলেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚছে ধরনা
আর কী বলেছেন অভিষেক? বিজেপি নেতাদের মুখে শুধু মিথ্যা কথা বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকা পর্যন্ত কাউকে ভাতে মরতে দেব না। রাজ্যপাল বলছেন এই দাবি ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত। উনি ভাল ব্যবহার করেছেন। মানুষের টাকা ফিরে এলে রাজভবনে গিয়ে চা–মিষ্টি খেয়ে আসব। আর যদি সদুত্তর না আসে তাহলে ১ তারিখ রাস্তায় নামলে সেটি হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। পিকচার আভি বাকি হ্যায়। কেন্দ্রের মন্ত্রী এবং রাজ্যের মন্ত্রী বসে কে ভুল কে ঠিক বিচার করুন। বিজ🥀েপি নেতাদের দেখুন শারীরিক ভাষায় হতাশা, চোখে সবসময় অসততা আর মুখে মিথ্যা কথা। মানুষের শক্তি ওরা জানে না। কেন্দ্র না পারলে টাকার ব্যবস্থা তৃণমূল করবে।’