জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষ্যে দেশ–বিদেশের অতিথিদের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষ থেকে। তাতে চিরাচরিত ‘দ্য প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়ার’ পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। তারপর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। বিরোধীরা বলছে, সরকারি প্রকল্প, রাস্তা, লা𝄹ইব্রেরি, স্টেডিয়াম, স্টেশন, এয়ারপোর্টের নাম বদলে তো দিয়েছে। এবার তাই দেশের নাম বদলে দিতে চাইছে মোদী সরকার! এবার এই আবহে বুধবার দুপুরে টুইট করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি টুইট করেছেন। সংবিধানে ভারত এবং ইন্ডিয়া দুটিরই উল্লেখ থাকলেও,⛎ বিজেপির পক্ষ থেকে সব বাদ দিয়ে দেশের নাম শুধু ভারত রাখার দাবি উঠছে। সংসদে এখনও পর্যন্ত বিল পাশ না হলেও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষরিত জি–২০ সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্রে দেশকে ‘ভারত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইন্দোনেশিয়া সফর এবং এএসইএএন সম্মেলনেও দেশের নাম ‘ভারত’ লেখা হয়েছে। আর এই দুটি নাম নিয়ে বিজেপি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে বিজেপ꧙ি নেতৃত্বাধীন সরকার আসল ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতে চাইছে বলে টুইটে উল্লেখ করেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।
এদিকে সূত্রের খবর, ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের যে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে, সেখানেই ইন্ডিয়া নামটি মুছে ফেলার প্রস্তাব আনবে সরকার। কিন্তু ইন্ড🥃িয়ায় আপত্তির কারণ কী? কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, এই নাম ইংরেজদের দেওয়া। ভারতবর্ষ আদিকাল থেকেই ভারত বলেই পরিচিত। তাই এখন আর ইন্ডিয়ার প্রয়োজন নেই। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ তামাম বিরোধী নেতা–নেত্রী একটাই কথা বলছেন—ভয় পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনে জয়🅠ে মরিয়া হয়ে দেশেরই নাম বদলে দিতে চাইছেন। ভোট ফর বিজেপি, ভোট ফর ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া, খেলো ইন্ডিয়া, স্কিল ইন্ডিয়া এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া কথাগুলি প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শোনা গিয়েছিল। এখন তাতেই অরুচির নেপথ্যে কি রাজনীতি রয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: গরুপাচার মা🐭মলা বাংলা থেকে চলে গেল দিল্লি আদালতে, কেষ্টর চাপ কি ব🍨াড়ল?
ঠিক কী লিখেছেন অভিষেক? অন্যদিকে গোটা দেশ যখন নাম বদল নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। টুইট করে অভিষেক লিখেছেন, ‘ভারত বনাম ইন্ডিয়া আসলে বিজেপির দ্বারা সংগঠিত একটি বিভ্রান্তি মাত্র। আসল ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। আসুন আমরা এই প্ররোচনায় পা না দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলি। সরাসরি🏅 আক্রমণ করি আকাশছোঁয়া দাম, ব্যাপক মূদ্রাস্ফিতি, সাম্প্রদায়িক বিভাজন, বেকারত্ব, সীমান্ত বিরোধ, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের শূন্যতা এবং জাতীয়তাবাদের ফাঁকা আওয়াজের জন্য।’