ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় আজ, মঙ্গলবার টানা ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে। সেখানে সকালে তিনি প্রবেশ করে সন্ধ্যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপরই দেখা গেল তিনি মন্দিরে ছুটলেন। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সোজা গাড়িতে উঠে বাড়ির দিকে রওনা দেন নুসরত জাহান। কিন্তু বাড়িতে ঢোকার আগেই একটি মন্দিরে ঢুকে পড়েন নুসরত। সেখানে পুজোও দেন। আর তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শꦺুরু করে, সূচি পরিবর্তন করে মন্দিরে কেন নুসরত?
আজ, মঙ্গলবার নুসরত জাহানকে ম্যারাথন জেরা করেন ইডির তদন্তকারীরা। তবে এদিন তিনি বেশ কিছু নথি নিয়ে গিয়েছিলেন ইডির দফতরে। সেখানে তা তিনি দেখান। তারপরেও নানান প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এই টলিউড অভিনেত্রীকে। বিকেল ৫টা নাগাদ যখন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি তখন মুখে–চোখ🦂ে ক্লা🃏ন্তির ছাপ। আর কোনও বিলম্ব না করে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু বাড়িতে গেলেন না নুসরত। বরং একটি মন্দিরের সামনে থামল নুসরতের গাড়ি। মন্দিরে ঢুকে মাটিতে বসে পড়েন। তারপর পুরোহিতের হাতে তুলে দেন পুজোর সামগ্রী। পুজো দিয়ে সেই প্রসাদ উপস্থিত সকলের মধ্যে বিলিও করেন। কোনও আশঙ্কা কাজ করছে অভিনেত্রীর মনে? উঠছে প্রশ্ন।
কী বললেন নুসরত জাহান? মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর সেখানে মুখোমুখি হন তিনি সংবাদমাধ্যমের। তখন তাঁকে ক্লান্ত দেখা যায়। তবে স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেন অভিন😼েত্রী। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নুসরত সুকৌশলে তা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘বাড়িতে সকলে অপেক্ষা করছে। আমি বাড়ি যাব।’ কিন্তু মন্দিরে আসার কারণ কী? জবাবে নুসরত বলেন, ‘কোনও বিশেষ কারণ নেই। শনিবার–মঙ্গলবার করে এমনিতেই আসি আমি। কেউই না থাকলেও আসতাম।’ তাহলে কি গ্রেফতার হবার ভয় কাজ করছে অভিনেত্রীর মনে? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ছয় মাসের মধ্যে ফলপ্রকাশ করতে হবে, মাদ্রাসা গ্রু🐠প–ডি পরীক্ষা নিয়ে নি🐽র্দেশ হাইকোর্টের
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিন তদন্তকারীদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলে দাবি করেন নুসরত। অভিনেত্রীর কথায়, ‘সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সবরকম সহযোগিতা করেছি। আবার যদি ডাকে, আবারও আসব। সব নথি দিয়েছি।’ তাহলে ভয় কাজ করছে কেন? এমন প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। ইডি সূত্রে খবর, নুসরতের দাবিতে সন্তুষ্ট নন অফিসাররা। তাই আবার তলব করতে পারেন। ন♎থি পরীক্ষা করেই ডাকা হবে। যদিও নুসরত দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং তাঁর দাবি, তিনি ওই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। বাকিটা ক্রমশ প্রকাশ্য।