নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এখন আইনে পরিণত হয়েছে। এখন তা সারা দেশে কার্যকর করে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে গোটা দেশে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এটাই গোটা দেশের কাছে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই আইন যখন বিল আকারে ছিল তখন সংসদে পাশ হওয়ার আগে পাঠানো হয়েছিল যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। যাতে এই কমিটি গোটা বিষয়টি দেখে মতামত দেয়। তবে যৌথ সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে মতামত নেওয়া হয় আইবি’র। আইবি তাদের রিপোর্টে জানায়, এই আইনের ফলে গোটা দেশ✱ে উপকৃত হবেন মাত্র ৩১,৩১৩ জন ব্যক্তি। যা আজ আবার সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই তথ্য আজ তুলে ধরেছেন রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে সাকেত গোখলের বক্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই আইনকে শরণার্থ𒉰ীদের দরদি এক দারুণ আইন হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটি বাস্তবে একটি ‘জুমলা’। কারণ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখের আগে পর্যন্ত যাঁরা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে এই আইনে নাগরিকত্ব পেতে পারেন মাত্র ৩১,৩১৩ জন 🐼ব্যক্তি। তাই এনআরসি জারি করে সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়াই কি আসল লক্ষ্য? আমরা এটার উত্তর চাই।’
আরও পড়ুন: উপ🌳াচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে দায়ী করল রাজ্য, শুনলেন অ্♊যাটর্নি জেনারেল
পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া ভোট ঝুলিতে ভরতেই এই সিএএ কার্যকর করা হয়েছে বলে মত দেশের বিরোধীদের। সুতরাং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন য𝕴া দাবি করে আসছিলেন সেটাই দেশের তামাম বিরোধীরাও বলছেন। এই আইনের ফলে বহু মানুষের নাগরিকত্ব চলে যাবে বলে প্রচার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ আগে বলেছেন, সিএএ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত লোকসভা নির্বাচনে মেরুকরণের জন্য। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আইনকে ‘নির্বাচনের আগে শো–অফ’ 𒐪বলে সম্বোধন করেছেন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, রাজ্যের সিপিএম সরকার সিএএ বাস্তবায়িত করবে না।
সুতরাং এই আবহে দেশের মধ্যে সিএএ কার্যকর করেও লাভের ফসল ঘরে এখনও তুলতে পারেনি বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে এটার প্রভাব পড় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। কংগ্রেসের দাবি, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বর মতো প্রকৃত সমস্যাগুলি থেকে নজর ঘোরাতেই নির্বাচনের প্রাক্কালে সিএএ সামনে এনেছে মোদী–শাহের দল। ꦉধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না বলে এখন সবাই সোচ্চার হয়েছেন। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলাও করা হয়েছে। সেগুলির শুনানি এখনও সব হয়নি। সেগুলি হলেই এই আইন ব্যুমেরাং হবে বলে মনে করা হচ্ছে।