পুজোর সময় তাদের বইয়ের বিপণিতে তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে যৌথ হামলার অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম। এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন স൲িপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক সিপিএম নেতা। তার পর থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। তারই মধ্যে বিজয়া দশমীর সকালে ফুল তোড়া নিয়ে কাশীপুর-বেলগাছিয়া এলাকায় সিপিএম জোনাল কমিটির অফিসে হাজির তৃণমূল সাংস🐎দ শান্তনু সেন। সিপিএম নেতাদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান তিনি।
কেন এই উদ্যোগ? জবাবে সাংসদ বলেন, ‘আমি বিজয়াꩲর দিন বিভিন্ন এলাকায় শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। সেই তালিকায় ছিল সিপিএমের অফিস ও স্টল। কাছেই একটি মণ্ডপের সামনে আমাদের জাগো বাংলার স্টল’। প্রসঙ্গত ওই জোনাল অফিসের বাইরে একটি বইয়ের স্টল দিয়েছে সিপিএম। পরে তিনি তাঁর এই উদ্যোগের আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, 'আমি সিপিএম জমানায় কাশীপুর-বেলগাছিয়াকে বহুবার উতপ্ত হতে দেখেছি। নিজে নির্বাচনী এজেন্ট হিসাবে সিপিএমের হাতে মার খেয়েছি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে কাশীপুর-বেলগাছিয়াকে আর সন্ত্রাস দেখতে হয় না। সব রাজনৈতিক দল এখানে খোলামনে রাজনীতি করতে পারে।'🥀
যদিও সি⭕পিএম একে সৌজন্যের নজির হিসাবে মানতে নারাজ। দলের কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার (যিনি নিজেও রাসবিহারীর ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন) একে তৃণমূল সাংসদের নাটক বলেই উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়,'আমরা ওঁর এই নাটকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত।' প্রসঙ্গক্রমে তিনি ২০১১সালের একটি ঘটনার উল্লেখ করে বলেন,' বামফ্রন্ট সরকার চলে যাওয়ার পর চিড়িয়ামোড়ে বিমান বসু এসেছিলেন। সেখানে শান্তনু সেন এসে দেখা করে যাওয়ার পর তৃণমূলের ছেলেরা ইট মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল।'
প্রসঙ্গত, রাসবিহারীর ঘটনার পর মঙ্গলবার নবমীর রাতে দিনহাটায় সিপিএমের একটি বইয়ের বিপণিতে হামলার অ🍒ভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দূষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় দিনহাটা থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।