মা𓂃 কালীকে নিয়ে মহয়া মৈত্রের বিতর্কিত মন্তব্যের দায় ঝেড়ে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক দলের তরফে দাবি করা হয়, মহুয়া যে মন্তব্য করেছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। সেই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফে টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্টে যে মতামত প্রদান করেছেন মহুয়া মৈত্র, তা সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত এবং কোনওরকমভাবে সেই মন্তব্য়ের সꦚমর্থন করে না দল। এরকম মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছে সর্বভারতী🍌য় তৃণমূল কংগ্রেস।’ যিনি অতীতেও দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁকে সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বলেছিলেন মহুয়া?
মঙ্গলবার ওই সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে ‘কালী’ সিনেমার পোস্টার বিতর্ক নিয়ে মহুয়াকে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে তিনি দাবি করেন, নিজের দেবদꩲেবীকে কীভাবে দেখবেন, সেটা ব্যক্তিগত বিষয়। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘আপনি যদি ভুটানে যান, বা উদাহরণস্বরূপ সিকিমে যান, তাঁরা সকালে পুজোর সময় দেবদেবীকে হুইস্কি দেন। এবার আপনি যদি উত্তরপ্রদেশে গিয়ে বলেন যে ভগবানকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দিচ্ছেন, তাহলে তাঁরা সেটাকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত বলবেন।’
কী নিয়ে বিতর্ক?
সম্প্রতি ডকুমেন্ট্রি ফিল্মমেকার লীনা মানিমেকালাইয়ের ‘কালী’ সিনেমার ‘অবমাননাকর’ পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পোস্টারে মা কালীর বেশে এক মহিলাকে দেখা গিয়েছে। নꦏেটিজেনদের একাংশ লীনার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ করেছেন। পরিচালককে গ্রেফতারির দাবিও উঠেছে। ইতিমধ্যে দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে তাঁর🐈 বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
যদিও রোষের 💝মুখে পড়ে লীনা বলেছেন, ‘ভালোবাসাকে বেছে নিন, ঘৃণাকে নয়।’ তিনি দাবি করেছে, ‘কানাডার সংস্কৃতির বৈচিত্র্য নিয়ে ছবি বানানোর জন্য টরেন্টো মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। (সেজন্য) মা কালী ছবিটি আমি তৈরি করেছি। তাতে আমি অভিনয়ও করেছি।’ সঙ্গে তিনি দাবি করেন, 'একটি সন্ধ্যার গল্প নিয়ে এই ছবি তৈরি করেছি, যখন টরেন্টোর রাস্তায় মা কালী আবির্ভূত হন। যদি আপনি এই ছবিটা দেখেন তাহলে লীনা মানিমেকালাইকে গ্রেফতারির দাবি জানাবেন না। বলবেন, লীনা তোমায় আমরা ভালোবাসি। আমার কালী কথা বলবেন বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে। ভালোবাসা যে শ্রেষ্ঠ ধর্ম, সেই বার্তা দেবে।'