পঞ্চায়েত নির্বাচন গিয়েছে, তবে বিদ্রোহের সুর ছাড়েননি তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার তিনি দাবি করলেন, প্রয়োজনে বিজেপি এবং কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে নির্দলদের বোর্ড গঠন করবেন। এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ নিয়ে প🔜্রশ্ন তুললেন হাই কোর্টেরই বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। সকালের এমনই গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি খবরে চোখ বুলিয়ে নিন একবার।
শুভেন্দুর রক্ষাকবচ নিয়ে প্রশ্ন হাই কোর্টেরই বিচারপতির
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশ, তাদের নির্দেশ ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করা যাবে না। তবে এরই মাঝে এবার হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাবে না। তাঁর মৌখিক পཧর্যবেক্ষণ, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করা নিয়ে যদি আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকে, তাহলে কি ১০ বছর পর অন্য কোনও মামলাতেও তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে না? উল্লেখ্যไ, পঞ্চায়েত ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ।
বিজেপি-কংগ্রেসকে নিয়ে নির্দলদের বোর্ড গঠনের হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুনের
তাঁর বহু অনুগামী নির্দল হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লꦡড়েছেন। অনেকে জিতেওছেন। এই আবহে ভোটের পরও 'বিদ্রোহী' তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এই আবহে কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে মিলে নির্দলদের বোর্ড গঠনের হুমকি দিয়েছেন হুমায়ুন। তাঁর অভিযোগ, ব্লক সভাপতি এবং জেলা সভাপতি তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। এই আবহে ভরতপুর ১ এবং ভরতপুর ২ ব্লকে নির্দলদের বোর্ড গঠনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন একদা অধীর ঘনিষ্ঠ এই নেতা। এছাড়া হুমায়ুনের দাবি, বেলডাঙা ২ এবং সোমপাড়া ১ ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতেও অনেক নির্দল ও কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী। তাঁরা নাকি হুমায়ুনের সঙ্গেই আছেন।
২০২৫-এর মধ্যে যক্ষ্মা মুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্য স্বাস্থ্য দফতরের
আগামী ২ বছরের মধ্যে রাজ্যকে যক্ষ্মা মুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের। গ্রামে যাতে এই নিয়ে সচেতনতা বাড়൩ে, তার জন্য তৎপর সরকার। রাজ্যের ৭০ শতাংশ পঞ্চায়েত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করছে স্বাস্থ্য দফতর। এই আবহে পঞ্চায়েত🦄 নির্বাচনের পরই পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্য দফতর এই নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এদিকে গ্রামে গ্রামে প্রতি হাজারে ৫০ জন করে যক্ষ্মা পরীক্ষা করতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। রোগীদের স্ক্রিনিং করতে হবে। চিকিৎসায় জোর দিতে হবে। প্রশাসনিক স্তরেই হবে এই কাজ।
অটিস্টিক শিশুকে নিগ্রহ স্পিচ থেরাপিস্টের
সাত বছরের অটিস্টিক শিশুকে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল স্বয়ং স্পিচ থেরাপিস্টের বিরুদ্ধে। এই শিশুটি কথা বলতে পারে না বলেই স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে দিয়েছিল বাবা–মা। বেলেঘাটায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। বেলেঘাটার আশুতোষ শাস্ত্রী রোডে এই স্পিচ থেরাপি কেন্দ্রের এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এক হাত দিয়ে স্পিচ থেরাপিস্ট চেপে ধরেন শিশুটির দু’হাত। আর অন্য একটি হাত দিয়ে কখনও ঘুষি, কখনও জোরে টোকা মারা হচ্ছে। আর ‘ভাইব্রেটর ব্রাশ’ দিয়ে চোখে খোঁচান🌳ো পর্যন্ত হয় বলে অভিযোগ।
একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যাদবপুরের সহ-উপাচার্য
একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় দেখা মিলল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। সেই সভায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারও। আর তাতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মঞ্চে দেখা গিয়েছে, ওই রেজিস্ট্রারের গলায় তৃণমূলের উত্তরীয় এবং ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সহ–উপাচার্য। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যাদবপুর বিশ্বব🐷িদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষাবন্ধু সমিতির অনুষ্ঠানে ঘটনাটি ঘটেছে।